সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে আগাগোড়াই দাপট দেখাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিন শতরান করেছিলেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার লোকেশ রাহুল। অবশ্য সে দিনই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে পাল্টা দেন ডিল এলগার। তৃতীয় দিন অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করেন এলগার। ১৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন তিনি। এটি তাঁর বিদায়ী সিরিজ। ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারলে মাইলস্টোন গড়তে পারতেন। সেটা হল না। তাঁর পাশাপাশি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ক্রিকেটারের একটি করে মাইলস্টোন গড়ার সুযোগ ছিল।
প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ভারতের প্রথম ইনিংস চলাকালীন ২০তম ওভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন। যে কারণে আজ, সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি।
ভারতের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে তেম্বা বাভুমা ব্যাটিংয়ে নামতে না পারায় জোড়া মাইলস্টোন মিস করেছেন জসপ্রীত বুমরা এবং মার্কো জ্যানসেন।
আসলে জসপ্রীত বুমরার ডেবিউ টেস্ট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে। সে বার তিনি ৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। এ বার সেঞ্চুরিয়নে বুমরার সামনে সুযোগ ছিল ফের ফাইফার (৫ উইকেট) নেওয়ার। কিন্তু তা হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরা। যদি তেম্বা বাভুমা ব্যাটিংয়ে নামতেন এবং বুমরা প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন বা ক্রিজে থাকা মার্কো জ্যানসেনের উইকেট তুলে নিতেন, তা হলেই ভারতীয় পেসারের ঝুলিতে ৫ উইকেট আসত। বাভুমা মাঠে ব্যাট হাতে না নামায় তা হয়নি।
২৩ বছর বয়সী প্রোটিয়া বোলিং অলরাউন্ডার মার্কো জ্যানসেন দেশের মাটিতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। বল হাতে ১টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অনবদ্য পারফর্ম করেন মার্কো জ্যানসেন।
৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া তরুণ তুর্কি মার্কো জ্যানসেন। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছয়।
আর ১৬ রান করতে পারলেই টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হয়ে যেত মার্কো জ্যানসেনের। যদি তেম্বা বাভুমা ব্য়াটিংয়ে নামতেন এবং মার্কো আরও ১৬ রান নিজের খাতায় যোগ করতে পারতেন, তা হলেই সেঞ্চুরিয়নে 'সেঞ্চুরিয়ন' হয়ে যেতেন জ্যানসেন।