কলকাতা: ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনই রুদ্ধশ্বাস। একদিনেই পড়ল ২৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট করে ভারত। এতে বড় অবদান রয়েছে মহম্মদ সিরাজের। প্রথম ইনিংসে তাঁর ঝুলিতেই ৬ উইকেট। অথচ বছরের শেষটা হয়েছিল চূড়ান্ত হতাশায়। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। মহম্মদ সিরাজ ৯১ রান দিয়ে ২ উইকেটে নেন। দ্বিতীয় ম্যাচে কী ভাবে সাফল্য? দিনের খেলা শেষে খোলসা করলেন মহম্মদ সিরাজ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। ভারত প্রথম সেশনেই চেপে ধরে। ফিল্ডিং সাজানো হয় সে ভাবেই। স্লিপ এবং পয়েন্ট ছাড়া অফসাইডে মাত্র একজন ফিল্ডার। বাঁ হাতি এলগারের জন্য শর্ট লেগে ছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ফিল্ডিং অনুযায়ী মিডল ও লেগ স্টাম্পে বোলিং করছিলেন সিরাজ। হঠাৎ কোনও ডেলিভারি তাও অফসাইডে খুব বেশি হলে ষষ্ঠ উইকেটে। এই ফাঁদে পা দিলেন প্রোটিয়া ওপেনাররা। ড্রাইভ করতে হিয়ে স্লিপ ক্যাচে ফেরেন এইডেন। অফসাইডে পুশ করে বাউন্ডারির লক্ষ্যে প্লেড অন এলগার। স্লিপ কর্ডন থেকে লাগাতার তাঁকে তাতিয়ে যান শুভমন গিল। স্টাম্প মাইকে ধরা পড়ে, শুভমন স্লিপ থেকে বলছেন ‘মামা অউর তাগরা বোলিং ডালনা হ্যায়’।
সেঞ্চুরিয়ন থেকে কেপটাউন। চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। প্রথম দিনের শেষে আবারও বোলিংয়ে আসতে হবে ভেবেছিলেন? সিরাজ পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘তাই মনে হয়?’, এরপরই যোগ করেন, ‘আমরাও ভাবিনি। ওদের আউট করে আরামেই ছিলাম। তবে এটাই ক্রিকেট। ভালো মন্দ সবই থাকবে।’ সিরাজের দার্শনিক জবাব। সেঞ্চুরিয়ন থেকে কেপটাউনের বদল প্রসঙ্গে বলছেন, ‘নতুন বছর ভালো হোক, এটাই চেয়েছিলাম। শেষ ম্যাচে কোথায় ভুল করেছিলাম, সেটা বুঝতে পেরেছিলাম। এখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিংয়ের চেষ্টা করেছি। পিচ অনেকটা সেঞ্চুরিয়নের মতোই।’
এই খবরটিও পড়ুন
তাহলে কী বদলেছেন সিরাজ? বলছেন, ‘আমরা (সিরাজ ও বুমরা) বহু ম্যাচেই জুটিতে বোলিংয় করেছি। অনেক বেশি মেডেন ওভার করতে পারলে চাপ তৈরি হয়। এরকম পিচে এক লাইন লেন্থে লাগাতার বোলিং করে যেতে হয়। পিচ থেকেই বল মুভ করছিল।’