ম্যাচের সেরা বাংলার তিতাসের বাড়তি পাওনা প্রিয় ঝুলুদির ভিডিয়ো কল


ম্যাচের সেরা বাংলার তিতাসের বাড়তি পাওনা প্রিয় ঝুলুদির ভিডিয়ো কলImage Credit source: BCCI Women Twitter

কলকাতা: বাংলার মেয়ে একদিন দেশের সেরা ক্রিকেটার হবেন। ক্রিকেট মহলে কান পাতলে চুঁচুড়ার তিতাস সাধুকে (Titas Sadhu) নিয়ে এমন নানা কথা শোনা যাচ্ছে। দেশের জার্সিতে ধীরে ধীরে তিতাস সাধুর ডালপালা প্রসারিত হচ্ছে। মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে অনবদ্য পারফর্ম করে ফের একবার লাইমলাইটে তিতাস সাধু। ১৯ বছর বয়সী বঙ্গতনয়া তিতাস সাধু একেবারে নাকানিচোবানি খাইয়ে ছাড়েন বেথ মুনি, তাহিলা ম্যাকগ্রাদের। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিতাস ঝুলিতে ভরেন ৪ উইকেট। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তিতাস। ম্যাচের শেষে বাড়তি প্রাপ্তি প্রিয় ঝুলুদির ভিডিয়ো কল।

কেরিয়ারের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলার মেয়ে তিতাস সাধু। এটিই আপাতত তাঁর আন্তর্জাতিক টি-২০ কেরিয়ারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান। অজিদের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচ ভারত জেতার পর টিম ইন্ডিয়ার সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা সাক্ষাৎকার নেন ভারতীয় পেসার তিতাস সাধুর। স্মৃতি সেখানে তিতাসকে প্রশ্ন করেন, ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে কেমন লাগছে? উত্তরে তিতাস জানান, দলের জয় এবং ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে তিনি খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘উইকেট পাটা ছিল। বল করা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু ভালো ভাবে ম্যাচ শেষ করতে পেরেছি। এর আগের ৪টে ম্যাচ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে। একটা টেস্ট ও ৩টে ওডিআই। সেটাই মনে হয় আমাকে তাতিয়েছে।’

এরপরই স্মৃতি বাংলার মেয়ে তিতাসকে বলেন, ঝুলন গোস্বামীকে ভিডিয়ো কল করার জন্য। এরপর তিতাস তাঁর ও সকলের প্রিয় ঝুলুদিকে ভিডিয়ো কল করেন। ঠিক সেই সময় তিতাস সাধুর সতীর্থরা তাঁর সামনে এসে বলতে থাকেন, ‘তিন লাখ কা পার্টি।’ আসলে ভারতীয় দলে এক নতুন রীতি চালু হয়েছে। যিনি ম্যাচের সেরার পুরস্কার পান, তাঁকে পার্টি দিতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০তে ম্যাচের সেরা যেহেতু তিতাস হয়েছেন, তাই তাঁকে পার্টি দেওয়ার কথা জানান তাঁর সতীর্থরা। তিনি জানান, পার্টি দেবেন।

ভারতীয় কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামীকে ভিডিয়ো কলে তিতাসকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘আজ ওর বোলিং বেশ উপভোগ করেছি। কট অ্যান্ড বোল্ডটা বিশেষ উপভোগ করেছি।’ এরপর স্মৃতি প্রশ্ন করেন ঝুলনকে যে তিনি তিতাসকে কোনও পরিকল্পনা দিয়েছিলেন কিনা। উত্তরে ঝুলন বলেন, ‘ওকে আমার প্ল্যান দেওয়ার দরকার। আশা করি এই ফর্ম ধরে রাখবে ও আগামী ম্যাচ গুলিতে।’ তিতাস জানান, তাঁর প্রিয় ঝুলুদির সঙ্গে আলাপ ১৩ বছর বয়সে। প্রথম থেকেই ঝুলন তাঁকে একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যা আজও মেনে চলেন তিনি। ঝুলন তাঁকে বলেছিলেন, ‘তুমি যেহেতু জোরে বোলার, তাই সবসময় জোরে বল করবে।’

৯ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচ জিতেছেন ভারতের মেয়েরা। এ বার দেখার দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে তিতাস সুযোগ পান কিনা। অবশ্য প্রথম ম্যাচে তিনি যে দাপট দেখালেন, তাতে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার টিকিট কার্যত হাতে পেয়েই গিয়েছেন বাংলার মেয়ে।



Leave a Reply