জোড়া বিশ্বকাপ জিতেও যে আক্ষেপ যায়নি যুবরাজ সিংয়ের…


কলকাতা: ‘আই অ্যাম নাম্বার ফোর’। যুবরাজ সিং আজীবন গর্বের সঙ্গে এই লাইন বলতে পারবেন। যুবরাজ পরবর্তী সময়ে ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর খুঁজতে হিমসিম খেয়েছে ভারত। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে শেষ বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ২০১৫, ২০১৯ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালেই বিদায়। এক যুগ পর ঘরের মাঠে ফের বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগ এসেছিল ভারতের সামনে। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারতীয় দল। যদিও ট্রফি আসেনি। ২০০৭ সালের উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা যুবরাজ সিং। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। কলকাতায় নিজের অ্যাকাডেমি উদ্বোধনে নানা বিষয়েই কথা বললেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

দুটো বিশ্বকাপে সেরার পুরস্কার। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর মতো অলরাউন্ডার কমই এসেছে। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং, পার্টটাইম স্পিনেও উইকেট নেওয়ার দক্ষতা এবং দুর্দান্ত একজন ফিল্ডার। যার কোনও বিকল্প এখনও খুঁজে পায়নি ভারতীয় ক্রিকেট। আচ্ছা যুবরাজ সিংয়ের ক্রিকেট কেরিয়ারে কোনও আক্ষেপ নেই? সাফল্যের শিখরে পৌঁছলেও কিছু আক্ষেপ থেকেই যায়। ছয় ছক্কার নায়কের জীবনেও রয়েছে। তার একটা নেতৃত্বের আক্ষেপ।

কলকাতায় যুবরাজ সিং বলেন, ‘অধিনায়কত্ব দারুণ একটা সম্মানের ব্যাপার। এখন দুটো-তিনটে দল রয়েছে। তিন ফরম্যাটে তিনটে দল। আমাদের সময়ে সেটা ছিল না। জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন হতে না পারা অবশ্যই আক্ষেপের ব্যাপার। তেমনই টেস্ট ক্রিকেট বেশি খেলতে না পারাও বড় আক্ষেপ। ৪৫ টা টেস্টে আমি শুধু দ্বাদশ ব্যক্তি হয়েই কাটিয়ে দিলাম। নিজে অধিনায়ক হতে না পারলেও সেরা অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছি। সেটাও কম প্রাপ্তি নয়।’

যুবরাজের কেরিয়ারে সেরা অধিনায়ক বলতে যে প্রথমে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথাই উঠবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছিলেন সৌরভ। আগামী দিনে তাঁরাই হয়ে ওঠেন তারকা। বিশ্বকাপ জেতানোর ক্ষেত্রে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। এর মধ্যে একজন অবশ্যই যুবরাজ সিং।

Leave a Reply