কলকাতা: রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। তবে অনেক রেকর্ড দীর্ঘসময় অক্ষত থেকে যায়। যেমন যুবরাজ সিংয়েরই সেই রেকর্ড! ১৯৯৯ সালে কোচবিহার ট্রফিতে মহেন্দ্র সিং ধোনির টিমের বিরুদ্ধে ৩৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যুবরাজ সিং। অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে সেই রেকর্ড এত দিন যুবির দখলেই ছিল। যুবরাজ সিং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ও নিয়েছেন। কেরিয়ারে দুটো বিশ্বকাপ জয়, দুটোতেই সেরার পুরস্কার। যুবির বর্ণময় কেরিয়ারে এতদিনও অক্ষত ছিল কোচবিহার ট্রফিতে গড়া সেই রেকর্ড। গত কাল সেই রেকর্ড ভেঙেছেন কর্ণাটকের ওপেনার। তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না কিংবদন্তি যুবরাজ সিং। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল কর্ণাটক ও মুম্বই। এর আগে কখনও এই টুর্নামেন্ট জেতেনি কর্ণাটক। গত বার সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছিল। সেই আক্ষেপ কাটল এ বার। সৌজন্যে প্রখর চতুর্বেদীর রেকর্ড ইনিংস। অপরাজিত ৪০৪ রান করেন প্রখর চতুর্বেদী। ২৪ বছর আগে গড়া যুবরাজ সিংয়ের ৩৫৮ রানের রেকর্ড ভেঙে দেন। ৬৩৮ বলে ইনিংসে ৪৬টি বাউন্ডারি, ৩টি ওভার বাউন্ডারিও মেরেছেন প্রখর।
এই খবরটিও পড়ুন
যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ড ভেঙেছেন। সেই কিংবদন্তিই শুভেচ্ছা জানালেন কর্ণাটকের কিশোরকে। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডলে যুবরাজ লিখেছেন-খুবই ভালো লাগছে। রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। দেখে ভালো লাগছে, ভারতীয় ক্রিকেট সুরক্ষিত হাতেই রয়েছে।
Very happy to see this! Records are meant to be broken and I’m glad to see the future of Indian cricket in safe hands????????????@BCCI @BCCIdomestic https://t.co/zY7pvVaMI7
— Yuvraj Singh (@YUVSTRONG12) January 16, 2024
প্রখর চতুর্বেদীর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড চমকে দেওয়ার মতোই। সেই পরিবার থেকে ক্রিকেটার হওয়া কঠিন ছিল হয়তো। প্রখর অবশ্য পড়াশোনা এবং ক্রিকেটের ভারসাম্য ঠিক রেখেছেন। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কোচবিহার ট্রফিতে ৪০০ রানের নজিরও গড়েছেন। প্রখরের বাবা সঞ্জয় চতুর্বেদী একটি সফ্টওয়্যার ফার্মের মালিক। তাঁর মা রূপা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলোপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসার। ছেলেকে অবশ্য কেরিয়ার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চাপ দেননি। বরং বাবা-মায়ের পুরোপুরি সমর্থন ছিল বলেই ক্রিকেটার হতে পেরেছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রখর জানিয়েছেন, ‘আট বছরে আমার ক্রিকেটে হাতেখড়ি। বাবা-মা পাশে থেকেছে। এমনকি কোভিডের সময় আমার প্রস্তুতিতে যাতে সমস্যা না হয়, একজন থ্রো ডাউন স্পেশালিস্টও নিয়োগ করেছিলেন। সৌভাগ্যবশত, আমি ক্রিকেট এবং পড়াশোনা দুটোই একসঙ্গে চালিয়ে যেতে পারছি।’
প্রখরের এখন লক্ষ্য রঞ্জি ট্রফি অভিষেক। কোচবিহার ট্রফিতে যেমন পারফর্ম করেছেন, তাতে খুব তাড়াতাড়ি কর্ণাটক সিনিয়র টিমে বা বলা ভালো রঞ্জি ট্রফিতে তাঁর ডাক পাওয়া খুব বেশি হয়তো অপেক্ষা করতে হবে না!