ডার্বি জিতে ইস্টবেঙ্গল কোচের মুখে ট্রেভর মর্গ্যানের নাম!


গত মরসুম অবধিও চিত্রটা ছিল এক তরফা। ডার্বি হলে মোহনবাগানই জিতবে, এমনটাই যেন ঠিক ছিল। এ মরসুমে চিত্রটা বদলে গিয়েছে। টানা আটটি ডার্বি হারের পর ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বে ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। যদিও ফাইনালে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ডুরান্ড ফাইনালের বদলা সুপার কাপের গ্রুপ পর্বে! পিছিয়ে পড়েও মোহনবাগানকে ৩-১ ব্যবধানে হারাল লাল-হলুদ। জোড়া গোল ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভার। তাঁর কোচিংয়ে মরসুমে তিনটির মধ্যে দুটি ডার্বি জয়, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ার কথা ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। কাদের জন্য বেশি উচ্ছ্বাস? সেটাই জানালেন কার্লেস। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ শুরুতেই বলেন, ‘অবশ্যই খুশি। প্লেয়ার, ক্লাবের জন্য তো অবশ্যই তবে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বাস হচ্ছে সমর্থকদের জন্য। কিছুদিন আগে অবধিও মোহনবাগানের কাছে টানা হারছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ধারা বদলেছে। সে কারণেই সমর্থকদের জন্য বেশি আনন্দ হচ্ছে। তবে এই ম্যাচের আনন্দে ভুলে গেলে চলবে না, আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। পরবর্তী ম্যাচেই নজর। অবশ্যই মূল ফোকাস সুপার কাপ জেতায়।’

তিনটের মধ্যে দুটো জয়। কোন ডার্বিটা বেশি সন্তুষ্টির? মজার উত্তর দিলেন কার্লেস! মনের কথাটা যেন মজা করেই বললেন, ‘অবশ্যই ডুরান্ড ডার্বিতে জেতাটা বেশি আনন্দের ছিল। ওখানে দুই কিংয়ের মধ্যে লড়াই ছিল। আসলে তেমনটাই বলা হচ্ছিল তখন। সেই ডার্বিটাই বেশি আনন্দের। ওর পরিকল্পনা দুর্দান্ত। প্রতিটা ডার্বিরই আলাদা পরিস্থিতি থাকে। প্রথম ডার্বিতে আমার অবস্থা ছিল অনেকটা মর্গ্যানের মতো। সবসময়ই শুনতে হত, ডার্বি জিততে হবে। মর্গ্যানও প্রথম ডার্বি জিতেছিল। বলতে পারি আমার ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে।’

ফেরান্দো বনাম কার্লেস হয়েছিল ডুরান্ডে। যদিও বছরের শুরুতেই ফেরান্দোকে ছাঁটাই করেছে মোহনবাগান। দুই স্প্যানিশ কোচের মস্তিষ্কের লড়াই এ বার দেখা গেল না। মোহনবাগান বেঞ্চে ছিলেন না কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া হাবাসও। দলীয় শক্তির দিক থেকেও মোহনবাগান অনেকটা পিছিয়ে ছিল।

Leave a Reply