কলকাতা: ফের কবে জাতীয় দলে সুযোগ মিলবে! বলা কঠিন। একটা সময় সাড়া ফেলেছিলেন রাজস্থানের বাঁ হাতি পেসার খলিল আহমেদ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন। জাতীয় দলেও দীর্ঘ সময় খেলেছেন। যদিও জায়গা পাকা করতে পারেননি। পাঁচ বছরের মতো হতে চলল শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এখন ভরসা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। তাতেও খুব ভালো সময় কাটেছে না। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরাই লক্ষ্য বাঁ হাতি পেসার খলিল আহমেদের। মহারাষ্ট্রর বিরুদ্ধে তাঁর একটা স্পেল প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের জমি ধরিয়ে দেওয়ার মতোই। রঞ্জি ট্রফি তৃতীয় রাউন্ডের খেলার তৃতীয় দিন খলিলের পারফরম্যান্স বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দেশের জার্সিতে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ক্রিকেটে খেলেছেন ১১টি ম্যাচ। ১৫ উইকেট নিয়েছেন খলিল আহমেদ। ম্যাচে সেরা বোলিং ১৩ রানে ৩ উইকেট। ইকোনমি ৫.৮১। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৪টি। নিয়েছেন ১৩টি উইকেট। ম্যাচে সেরা বোলিং ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট। ইকোনমি যদিও ৮.৮২। এ বারের রঞ্জিতেও তাঁর শুরুটা ভালো হয়নি। হরিয়ানার বিরুদ্ধে কোনও উইকেট পাননি। সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে নিয়েছিলেন মাত্র ১টি উইকেট। তবে মহারাষ্ট্রর বিরুদ্ধে তাক লাগানো পারফরম্যান্স।
প্রথম ইনিংসে মহারাষ্ট্রকে ১৮৯ রানে অলআউট করে রাজস্থান। কেদার যাদবের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার মহারাষ্ট্রর ক্যাপ্টেন। প্রথম ইনিংসে ৪২ রান করেছিলেন তিনি। জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৭০ রান করে রাজস্থান। দীপক হুডা সর্বাধিক ৬৩ রান করেন। প্রথম ইনিংস লিড নিলেও ম্যাচ জিততে হলে বিধ্বংসী বোলিংয়ের প্রয়োজন ছিল রাজস্থানের। সেটাই করলেন খলিল। প্রতিপক্ষ অধিনায়কের উইকেট তাঁর ঝুলিতেই। ১১ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন বাঁ হাতি পেসার খলিল আহমেদ। এর মধ্যে দুটি কট বিহাইন্ড এবং বাকি দুটি উইকেট স্টাম্প ছিটকে দিয়ে।
Fiery Spell ???????? @imK_Ahmed13 came out firing on all cylinders in the second session to help Rajasthan bowl Maharashtra out for 184 in the 2nd innings
Relive ???? his fantastic spell of 4/19 ????@IDFCFIRSTBank | #RanjiTrophy | #RAJvMAH
Scorecard ▶️https://t.co/H7qyKmMu9m pic.twitter.com/FuVJS5u5Je
— BCCI Domestic (@BCCIdomestic) January 21, 2024
দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাষ্ট্র ইনিংস শেষ মাত্র ১৮৪ রানেই। জয়ের জন্য ১০৪ রান করতে হত রাজস্থানকে। তৃতীয় দিনই সেই রান তুলে নিল রাজস্থান। দুই ওপেনার হাফসেঞ্চুরি করেন। তবে খলিলের সেই স্পেলটা না হলে মহারাষ্ট্রকে এত দ্রুত অলআউট করা যেত না। টার্গেট হয়তো আরও অনেক বেশি থাকত।