‘রসগোল্লা’ মুখে নিয়েই নতুন লক্ষ্যর কথা জানালেন হিজাজি


কলকাতা: রসগোল্লা যে বাংলার এই নিয়ে আর কোনও দ্বি-মত নেই। রসগোল্লা ডার্বিও ইস্টবেঙ্গলের। তাও আবার ফাইনালের মঞ্চে। ওডিশা এফসি ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলছিল। কলিঙ্গ সুপার কাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তারা। এ বারও ফাইনালে প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় ওডিশাই। কিন্তু শেষ হাসি ইস্টবেঙ্গলের। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন লাল-হলুদ। ট্রফির ‘বনবাস’ কাটল। দীর্ঘ এক যুগ পর সর্বভারতীয় স্তরের ট্রফি ইস্টবেঙ্গলে। টিমের কোচ, প্লেয়ারদের নিয়ে নাচানাচি হবে, এমনটাই প্রত্যাশিত। লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন এক নতুন বিদেশি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ ভাগের ধার বেড়েছে। এক দিক থেকে যেমন এটা ঠিক। তেমনই বলা ভালো, হিজাজি আসার পর ডিফেন্স শক্তিশালী হওয়াতেই আক্রমণ ভাগ আরও ভালো খেলতে পারছে। তিনি যেমন ডিফেন্সে ভরসা দিচ্ছেন, তেমনই সেট পিসের ক্ষেত্রে উঠে গিয়ে গোলেরও চেষ্টা করছেন। চেষ্টা সাফল্যও পেয়েছে। ইতিমধ্যেই লাল-হলুদ জার্সিতে তাঁর নামের পাশে দুটি গোল। এ বার যোগ হল ট্রফিও। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন হিজাজি।

ম্যাচের আগে হোক বা পরে, সমর্থকরা অনুশীলনে এলে খোঁজেন হিজাজিকে। একটা সেলফি, দু একটা কথা, সমর্থকদের প্রাণ ভরিয়ে দেয়। ম্যাচের পর তাঁর কথাগুলোও তেমনই। এমন প্লেয়ারই তো চাই, যাঁর দূর-দর্শন থাকবে। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে হিজাজি বলছেন, ‘প্রথমত, সকলের জন্য খুবই ভালো লাগছে। ভারতীয় ফুটবলে এটা আমার প্রথম ট্রফি। ক্লাবেও দীর্ঘ দিন ট্রফি আসেনি। সকলের প্রত্যাশা পূরণ হল।’

হিজাজির কথা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তেমনই লক্ষ্যও এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। সমর্থকদের প্রত্যাশাটা খুব ভালো বোঝেন। গ্যালারির সমর্থকদের যেমন কৃতজ্ঞতা জানালেন, যাঁরা মাঠে থাকতে পারেননি, তাঁদের কথাও ভোলেননি হিজাজি। আর সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এটা আমরা জিতলাম। এ বার নজরে অন্য ম্যাচ।’ সুপার কাপ শেষ হল ঠিকই। দলও চ্যাম্পিয়ন হল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যে এ বার শাপমুক্তি করতে হবে। হিজাজি যেন সেই ইঙ্গিতই দিয়ে গেলেন।

Leave a Reply