Neeraj Chopra: স্থূলকায় চেহারায় খেলা… কম খোঁচা শুনতে হয়নি সোনার ছেলে নীরজ চোপড়াকে
কলকাতা: ছেলেবেলায় নাদুসনুদুস চেহারার ছেলেটা যে বড় হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে, অলিম্পিকে সোনা জিতবে তা পানিপতের অনেকেই ভাবেননি। নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra) সকলের ভুল ভেঙেছেন। শুধু অলিম্পিকে সোনার পদকই নয়, নীরজের ঝুলিতে রয়েছে বিশ্ব মিটের খেতাব, ডায়মন্ড লিগের মতো খেতাবও। সেই নীরজকে একসময় শুনতে হয়েছিল তাঁর স্থূলকায় চেহারা নিয়ে খোঁটা। ফিট ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স পডকাস্ট সিরিজে নীরজ তাঁর চেহারার পরিবর্তন ও ডায়েটের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
মোটা কমানোর জন্য প্রথমে জ্যাভলিন তুলে নেন নীরজ। তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে যখন স্টেডিয়ামে গিয়ে জ্যাভলিন তুলে নিয়েছিলাম তখন থেকেই সব কিছু বদলে যেতে শুরু করেছিল। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার অতিরিক্ত চর্বি ছিল। লোকজন আমাকে বলত এত স্থূলকায় চেহারা ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে আমি কোনও খেলাধূলাতেই অংশ নিতে পারব না। যদিও ওই সব কথা আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করতে পারেনি। বরং আমি চেয়েছিলাম নিজের শরীরকে পরিবর্তন করতে। আমি তাতে সফলও হয়েছিলাম।’
সোনার ছেলে নীরজের কথায় শরীর ফিট রাখার জন্য বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করতে হবে, তার কোনও মানে নেই। বাড়িতে একটি মাদুরেও সেটা করা সম্ভব। এমন নয় যে জিমে যেতেই হবে। নীরজ এখন অনেক ফিট। তবে তিনি জানিয়েছেন, বরাবরই খেতে খুব ভালোবাসেন। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার। তিনি বলেন, ‘আমি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসি। অনেক সময় আমার আইসক্রিম দিয়ে গুলাব জামুন খেতেও ভালো লাগে। আমি জানি না কতজন এই কম্বিনেশন ট্রাই করে দেখেছো। কিন্তু আমি বিষয়টা বেশ উপভোগ করি।’
মোটা চেহারার জন্য একসময় ছিলেন হাসির পাত্র, সোনার ছেলে কোন ডায়েটে হলেন ফিট?
এরপরই নীরজ জানান, মার্কেটে পাওয়া মিষ্টির থেকে বাড়িতে বানানো মিষ্টি তাঁর বেশি পছন্দের। টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী জ্যাভলিন স্টারের কথায়, ‘যখন ডায়েটের কথা আসে তখন ফল ও স্যালাডের মতো প্রাকৃতিক খাবারের উপর জোর দেওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার সকালের রুটিনে রেখেছি অনুশীলনের আগে ব্রেকফাস্ট। যাতে ফল, দই, ওটস ও ডিম থাকে। অনুশীলনের ফাঁকে জুস, শুকনো ফল, কলা, নারকেলের জল খাই। অনুশীলনের ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে প্রোটিন শেক খাই। দুপুরে সাধারণত ডাল, দই, সবজি, স্যালাড, রুটি বা ভাত খাই। সঙ্গে আমিষ খাবারের বিকল্পও থাকে। সন্ধের অনুশীলন শুরুর আগে ১ ঘণ্টা ঘুমাই। সন্ধে বেলা চিয়া সিড, ড্রাই ফ্রুটস কিংবা কলা খাই শক্তির জন্য।’