তর সইছিল না! ‘লুজ বল পেয়েছি, বিন্দাস মেরেছি,’ বলছেন সরফরাজ


জাতীয় দলে খেলার জন্য ঠিক কতটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে? হিসেব নেই সরফরাজ খানের। আসলে শুধু নিজেরই নয়, স্বপ্নটা ছিল বাবারও। নানা কারণে বাবা নৌশাদ খান ক্রিকেট চালিয়ে যেতে পারেননি। দুই ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। নৌশাদের স্বপ্ন পূরণ হল সরফরাজের ব্যাটে। অভিষেক টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন সরফরাজ। টেস্ট ক্যাপ পাওয়া থেকে ব্যাটিং। এই সফরটাও খুব কম সময়ের ছিল না। আর যখন সুযোগ পেলেন, পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন। সরফরাজ নিজে কী বলছেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ধৈর্যের পরীক্ষা! সরফরাজের কি তর সইছিল না? বলছেন, ‘৪ ঘণ্টা প্যাড পরে বসেছিলাম। একটা জিনিসই ভাবছিলাম, জীবনে এত ধৈর্য রেখেছি, আরও একটু না হয় ধৈর্য ধরলাম। এরপর নামতে হল। শুরুতে এক-দুটো ডেলিভারি নার্ভাস ছিলাম। দ্রাবিড় স্যর আগেই বলেছিল, পাঁচ কিংবা ছয়, যে কোনও পজিশনে যেতে হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিল। জাড্ডু ভাই আমার আগে নামবে, এটা জানাই ছিল।’

মাঠে যেমন দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছিলেন, কোনও জড়তা দেখা যায়নি ব্যাটিংয়ে, সাংবাদিক সম্মেলনেও একই ভঙ্গিতে ‘ব্যাটিং’ করলেন। সরফরাজ বলেন, ‘এত দিন ধরে এই জিনিসটাই তো করে আসছিলাম। খেলাটা আমার কাছে তো নতুন নয়। তার উপর, ইংল্যান্ড হয়তো ভেবেছিল, এ নতুন ছেলে, সতর্ক হয়ে খেলবে, সে ভাবেই ফিল্ডিং সাজিয়েছিল। আমি স্পিনারদের বরাবরই ভালো খেলি। এখানেও ইংল্যান্ড ফিল্ডিংয়ের সুযোগটা নিয়েছি। লুজ বল পেলেই বিন্দাস খেলেছি।’

এত বছর ধরে খেলছেন। পার্থক্য কী? সরফরাজের কথায়, ‘প্রথম শ্রেনির ম্যাচে এত দর্শক থাকে না, টেস্ট ম্যাচে প্রচুর দর্শকের সামনে খেলার সুযোগ। একবার এই পরিবেশের সঙ্গে সেট হয়ে গেলে, আর কোনও নার্ভাসনেস থাকে না, সব নরম্যাল হয়ে যায়। আমারও প্রথম কয়েকটা ডেলিভারি সমস্যা ছিল। এরপর মনে হল, বছরের পর বছর তো আমি এটাই করে এসেছি।’

Leave a Reply