Anil Kumble: টেনিস বলে গুগলি শিখেছিলাম… বলে দিলেন ৬০০ উইকেটের কিংবদন্তি
কলকাতা: যাঁর ভাণ্ডারে যত বেশি অস্ত্র, সাফল্য তত বেশি। ক্রিকেটে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য পেতে হলে নিজেকে বদলাতে হয়। ব্যাটারের প্রতিটা শট নিখুঁত করাটা যেমন জরুরি, বোলারের ক্ষেত্রে লাগে বৈচিত্র। তবে সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। কিংবদন্তির আসনে বসা যায়। টেস্ট ক্রিকেটে বোলারদের পরীক্ষা আরও কঠিন। ধারাবাহিক হওয়ার পাশাপাশি সমৃদ্ধ করতে হয় নিজেকে। আবিষ্কার করতে হয় নতুন অস্ত্র। শাণ দিতে হয়। ব্যবহার করতে হয় ম্যাচে। প্রথম প্রথম হয়তো বেশিই খরচ হয় রান। ধীরে ধীরে সেই অস্ত্রই হয়ে ওঠে তাঁর নামের সমার্থক। অনিল কুম্বলে যেমন। লেগস্পিনার হিসেবে তাঁর সাফল্যের অন্যতম দিক ছিল গুগলি। অনিল কুম্বলে (Anil Kumble) কী ভাবে শিখলেন সেই গুগলি?
কেরিয়ারে ১৩২টা টেস্ট খেলে ৬১৯ উইকেট নিয়েছেন দক্ষিণী স্পিনার। একসময় ছিলেন পেস বোলার। লেগস্পিনার হওয়ার পর গতিটা থেকে গিয়েছিল বলে। একটু জোরের উপর বল করতেন বলেই বেশি বিভ্রান্ত হয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা। বিশ্বের যে কোনও পিচে উইকেট ফলিয়েছেন কুম্বলে। তার কারণ হিসেবে কিংবদন্তি বোলার নিজের অভিজ্ঞতাকেই তুলে ধরেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে কেরিয়ারে ৫০০ উইকেট নিতে দেখে কুম্বলে ফিরে গেলেন নিজের খেলার সময়। কমেন্ট্রি বক্সে বসে বলে দিলেন, ‘স্পিনারের ক্ষেত্রে গুগলি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অস্ত্র। টেনিস বলে আমি সেটা শিখেছিলাম। কিন্তু ম্যাচে চট করে ব্যবহার করতাম না। ম্যাচে একটা সময় থাকে, বাধ্যতামূলক ভাবে বল করতে হয়। তখন আমি ক্যাপ্টেনকে বলতাম, একটা দিক থেকে আমাকে দিয়ে বল করাও। ওই সময়টা আমি গুগলি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতাম। করতে করতে নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছিল গুগলি।’
নয়ের দশকের শুরুর দিকে যে গুগলি বল শিখেছিলেন, সেই বল নিয়মিত ব্যবহার করতে লেগে গিয়েছিল প্রায় ১০টা বছর। ঘরোয়া ক্রিকেটে যে কারণে খেলার চেষ্টা করতেন। যাতে নিজেকে আরও ঘষামাজা করতে পারেন। কুম্বলে কিন্তু মনে করছেন, অশ্বিন তাঁর ৬১৯ উইকেটের মাইলফলকও পেরিয়ে যাবেন। টেস্ট বোলারদের তালিকায় চার নম্বরে কুম্বলে। মুথাইয়া মুরলিধরন, শেন ওয়ার্ন, জিমি অ্যান্ডারসনের ঠিক পরেই রয়েছেন। ভারতীয় টেস্ট বোলারদের মধ্যে শীর্ষে থাকা কুম্বলে বলছেন, ‘অশ্বিনের উচিত আমার রেকর্ড তাড়া করা। ও বোলার হিসেবে নিজেকে সব সময় প্রমাণ করেছে। আরও সাফল্য পাবে।’