কলকাতা: শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ১২ রান। প্রথম দুটো বলে এসেছিল ৮। শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ৪। তাও এল টিম ডেভিডের আগ্রাসী ব্যাট থেকে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুরন্ত জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ওয়েলিংটনে কিউয়িদের বিরুদ্ধে সুপারহিরো ডেভিড। ১০ বলে অবিশ্বাস্য ৩১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এতেই শেষ নয়, টিমকে এনে দিয়েছেন কাঙ্খিত জয়। যা দেখে অনেকেই বিস্ময়ের হতবাক হয়ে গিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজকাল ২০০ রান তাড়া করে জেতা প্রায় অভ্যেস করে ফেলেছে টিমগুলো। এই ম্যাচেও তারই প্রতিফলন দেখা গেল। চার মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে সব টিমই নিজেদের শানিয়ে নিতে চাইছে। ৩ বছর আগে বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়া এ বারও ফেভারিট হিসেবেই পা রাখবে টুর্নামেন্টে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নিউজিল্যান্ড আগে ব্যাট করে ২১৫-৩ করেছিল। ডেভন কনওয়ে ৪৬ বলে ৬৩ করে যান। ৩৫ বলে ৬৮ করেন রচিন রবীন্দ্র। মেরেছেন ৬টা ছয় ও ২টো চার। আইপিএলের আগে তিনি দারুণ ফর্মে। চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন ধোনি নিশ্চয়ই এই ইনিংস দেখে খুশি হয়েছেন। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ট্রেভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার বড় রান দিতে পারেননি টিমকে। কিন্তু মিচেল মার্শকে থামাতে পারেনি কিউয়ি বোলাররা। ৪৪ বলে নট আউট ৭২ করেন তিনি। মেরেছেন ৭টা ছয় ও ২টো চার। তবে আরও বিস্ফোরক ব্যাটিং করেছেন টিম ডেভিড। যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, তখন স্কোরবোর্ডে ১৭৪-৪। সেখান থেকেই খেলা ঘুরিয়ে দেন টিম ডেভিড। ৯ বলে দরকার ছিল ৩২। অজি অলরাউন্ডার ৩১ করে যান। ১০ বল খেলে ৩টে ছয় মেরেছেন। সঙ্গে দুটো চার। যার মধ্যে রয়েছে শেষ বলে চারটাও।
ম্যাচের সেরা মিচেল মার্শ। কিন্তু তিনিও মুগ্ধ ডেভিডে। বলেছেন, ‘টিম ডেভিড যে ভাবে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটা শেষ করল, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। বিপুল আত্মবিশ্বাস থাকলে তবেই এটা করা যায়। ওর মতো প্লেয়ারের টিমে থাকা বিরাট ব্যাপার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২১৬ রান তাড়া করে জেতা কখনওই সহজ হয় না। সেটা সম্ভব হয়েছে টিম ডেভিডের জন্য।’