কলকাতা: উল্টোদিক থেকে একের পর এক উইকেট পড়ছিল। দলের হাল ধরেন তরুণ ব্যাটার মুশির খান। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বইয়ের ইনিংসকে প্রাণ ফিরিয়ে দেন সরফরাজ খানের ভাই। সদ্য টেস্ট অভিষেক হয়েছে সরফরাজের। অভিষেক টেস্টের দু-ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি। তেমনই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলে এসেই প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে সেঞ্চুরির খাতা খোলেন মুশির। দাদার মতোই অল্পেতে খুশি নন। সেঞ্চুরি পেরোলেও মনোসংযোগ হারাননি। প্রথম দিনের শেষে ১২৮ রানে ক্রিজে ছিলেন। বরোদার বিরুদ্ধে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ডাবল সেঞ্চুরি মুশিরের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মধ্যাহ্নভোজে যেন অস্বস্তি নিয়ে গিয়েছিলেন মুশির খান। ১৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিরতির পর সতর্ক হতে হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিঙ্গল নিয়েছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের সতীর্থ রাজ লিম্বানির বলে কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে ১৮৮-তে পৌঁছন মুশির। ধীরে ধীরে ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে গ্যাপ কমে। সপ্তম উইকেট হিসেবে শার্দূল ঠাকুর ফিরতেই চিন্তা বাড়ে। সঙ্গীর অভাবে পড়বেন না তো মুশির! সে সময় ১৯২ রানে তিনি। ক্রিজে আসেন তনুষ কোটিয়ান। প্রথম বলেই স্ট্রাইক দেন মুশিরকে। খুঁচরো রান নিয়ে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগতে থাকেন মুশির। অবশেষে ৩৫০ বলে ২০০ রানে পৌঁছন মুশির খান। হেলমেট খুলে সেলিব্রেশন। ডাগআউটের দিকে ফ্লাইং কিস।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে রানার্স হয়েছে ভারত। বিশ্বকাপে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন মুশির খান। উইকেটও নিয়েছেন। ভালো খেললেও ভাইকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন সরফরাজ! দেশে ফেরার পর মুশিরকে বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপে ভালো খেলেছিস। তবে আসল ক্রিকেট কিন্তু এ বার শুরু হবে।’ বরোদার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর মুশিরই শোনালেন সেই কথা। সঙ্গে আরও বলেন, ‘আমাদের দু-জনেরই সময় ভালো চলছে।’
মুশির অবশ্য মন্দ বলেননি। বছরের পর বছর শুধু অপেক্ষা করে গিয়েছেন সরফরাজ খান। রঞ্জি ট্রফিতে প্রচুর রান করলেও জাতীয় দলের দরজা কিছুতেই খুলছিল না। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারত এ দলে সুযোগ মেলে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধেও খেলেন। এরপরই টেস্ট দলে ডাক। রাজকোটে টেস্ট অভিষেকেই সেঞ্চুরি হতে পারত। জাডেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি। রাঁচিতে নম্বরের অপেক্ষায় সরফরাজ। তার আগে ভাইয়ের ডাবল সেঞ্চুরি যেন সরফরাজকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে।