অবিশ্বাস্য ইনিংস, সেঞ্চুরির আক্ষেপেও ভারত ও ভরতের ভাগ্য নির্ধারণ ধ্রুব জুরেলের!


আকাশ দীপ আউট হতেই গ্যালারিতে হতাশা। আসলে তাঁর জন্য সামান্য। ধ্রুব জুরেলের সেঞ্চুরি হতে তখনও ২০ রান বাকি। সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে না তো! ধ্রুব জুরেলের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মহম্মদ সিরাজ। উল্টোদিকে, একটি ওভার বাউন্ডারি ও বাউন্ডারি মেরে ৯০-তে পৌঁছে যান। সিরাজ স্ট্রাইকে আসতেই আতঙ্ক বাড়ে। সিরাজ একটা বল ডিফেন্স করছিলেন, গ্যালারিতে গর্জন বাড়ছিল। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে নয়, বরং টম হার্টলির একটা অনবদ্য ডেলিভারিতে বোল্ড। ৯০ রানের এই ইনিংস কোনও সেঞ্চুরির চেয়ে কম নয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অন্তত ১৫০ রানের লিড নিতে পারত। তা হতে দেয়নি ধ্রুব জুরেল-কুলদীপ যাদব জুটি। ইংল্যান্ডকে মানসিক ভাবে ভেঙে দেন কুলদীপ যাদব। তাঁর অনবদ্য ডিফেন্সের প্রশংসায় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। আর উল্টোদিকে ধ্রুব জুরেল। যেমন ডিফেন্স করেছেন, স্টেপ আউট করে বল গ্যালারিতে পাঠাতেও দ্বিধা করেননি। কুলদীপের পর আকাশ দীপের সঙ্গে অনবদ্য একটা জুটি গড়েন। ইংল্যান্ডের সঙ্গে রানের পার্থক্য ক্রমশ কমতে থাকে। মাত্র ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস। তবে ইংল্যান্ড মাত্র ৪৬ রানের লিড নিতে পারল।

দলের বিপদে ১৪৯ বলে ৯০ রানের ইনিংস। ৬টি বাউন্ডারি, ৪টি ওভার বাউন্ডারি। এই ইনিংস ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছে। ৪৬ রানে পিছিয়ে থাকা খুব একটা বিপজ্জনক নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করল ধ্রুব জুরেলের এই ইনিংস। শুধু তাই নয়, যেন শ্রীকার ভরতের ভাগ্যও। দীর্ঘ সময় টেস্টে সুযোগ পেয়েছেন ভরত। ঋষভ পন্থ না থাকায় তাঁকে কার্যত খেলাতে বাধ্য হয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ।

কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই পরিণত একটা ইনিংসে ধ্রুব জুরেল যেন বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এই জায়গায় যোগ্য। আর ৩১টি সেঞ্চুরি করা জো রুটের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটার যখন তরুণ ধ্রুব জুরেলকে সাবাশি দেন, এর থেকেই পরিষ্কার কতটা গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন ধ্রুব।

Leave a Reply