রাঁচি টেস্টে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিল ভারত। বাজবল কাজ না করলেও ব্যাশ-বল ভুগিয়েছে। ২০ বছরের তরুণ অফস্পিনারের বিরুদ্ধে খাবি খেয়েছে ভারতের ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রান করে ইংল্যান্ড। যশস্বী জয়সওয়ালের দুর্দান্ত শুরু। উল্টোদিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ে। দলীয় ১৭৭ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ফিরতেই ভারতীয় শিবিরে আতঙ্ক। একদিকে ধ্রুব জুরেল, অন্য দিকে কুলদীপ যাদব। প্রথম ইনিংসে কতটা পিছিয়ে থাকবে ভারত, এটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এরপরই কুলদীপ-জুরেলের কামাল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিন নিঃসন্দেহে ব্যাকফুটে ছিল ভারতীয় দল। পিচে ফাঁটল রয়েছে। তবে ভারতীয় ব্যাটাররা এমন পিচে খেলতে অভ্যস্ত। সেখানেই অস্বস্তিতে ফেললেন শোয়েব বশির। রেহান আহমেদের পরিবর্তে এই ম্যাচে তাঁকে একাদশে ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন ৪ উইকেট নিয়ে নায়ক হয়েছিলেন শোয়েব বশির। যদিও কুলদীপের ডিফেন্সের সামনে পেরে ওঠেননি। ধ্রুব জুরেল পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করেন। মারার বল পেলে মেরেছেন। আবার ডিফেন্সও করেছেন। বাড়তি আলোচনায় কুলদীপ।
প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে সেঞ্চুরি রয়েছে কুলদীপের। তবে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে তিনি কতটা সময় টিকতে পারবেন, এটাই যেন প্রশ্ন ছিল। সকলকে ভুল প্রমাণ করতে থাকেন। বেন স্টোকস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলারদের আক্রমণে আনলেও কুলদীপকে টলাতে পারছিলেন না। রক সলিড ডিফেন্স, বল ছাড়ার স্টাইল। ধারাভাষ্যকারররা বলতে থাকেন, ও তো স্টিভ স্মিথের চেয়েও ভালো ডিফেন্স করছে। দ্বিতীয় দিন প্রায় দু ঘণ্টা ক্রিজে কাটান। তৃতীয় দিনও ইংল্যান্ড শিবিরের হতাশা বাড়াচ্ছিলেন। আউট হলেন আনলাকি।
রাঁচির তৃতীয় দিন জিমি অ্যান্ডারসন ধৈর্যের পরীক্ষায় পাশ করেন। জিমি অ্যান্ডারসনের ডেলিভারি ব্যাট-প্যাড হয়ে উইকেটে লাগে। তবে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছেন কুলদীপ। ১৩১ বলে ১৩১ বলে ২৮ রান করেন। জুরেলের সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপের সৌজন্যে ফলো অন বাঁচিয়ে দেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস স্কোরের সঙ্গে ভারতের ব্যবধানও কমিয়ে দেন কুলদীপ।