প্রথম বার ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক। ততদিনে টি-টোয়েন্টি, ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে ফেলেছেন। অধিনায়ক ধোনির মধ্যে তবুও কোনও অহংকার নেই। তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে মহেন্দ্র সিং ধোনি বরাবরই আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় নত সকলেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেন মাহি। প্রতি ম্যাচেই দেখা যায়, সুযোগ পেলেই ধোনির কাছে ছুটে যান তরুণ ক্রিকেটাররা। পরামর্শ নেন। ধোনি কোনওসময়ই বিরক্তি প্রকাশ করেন না। তিনি যে কতটা মাটির মানুষ, এমনই একটা ঘটনা শেয়ার করলেন দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অতি পরিচিত নাম ফৈয়াজ ফয়জল। সদ্য ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এ বারের রঞ্জি ট্রফিই কেরিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট ছিল। ক্রিকেট কেরিয়ারে একটি বিশেষ নজিরও রয়েছে। যা হয়তো না হলেই খুশি হতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্স থাকলেও কোনওদিন টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। একটিই মাত্র আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। আর এই রেকর্ড হাতে গোনা কয়েকজনের রয়েছে। কেরিয়ারের প্রথম এবং শেষ ওডিআইতে অপরাজিত ৫৫ রান করেছিলেন। সেই জিম্বাবোয়ে সফর নানা কারণেই স্মরণীয় ফয়জলের জন্য। সৌজন্যে ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
কেরিয়ারের প্রথম সফরের সেই অভিজ্ঞতা চোখের সামনে ভাসে। একটি সাক্ষাৎকারে বিদর্ভের প্রাক্তন অধিনায়ক শুনিয়েছেন মাহির সেই ঘটনা। বলেন, ‘সেটা আমার প্রথম সফর। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে খেলার সুযোগ পেয়েছি। ডেবিউ ক্যাপ পেয়েছিলাম মাহি ভাইয়ের হাত থেকে। জিম্বাবোয়ে থেকে ফিরছি। প্রথম সফর নিয়ে আনন্দে আত্মহারা ছিলাম। এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে আমরা কয়েকজন বসে রয়েছি। মাহি ভাই এল। আমরা সকলেই তাঁকে সিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। মাহি ভাই উল্টে বলেন-তোমরা বোসো। বলে নিজে ফ্লোরেই বসে পড়লেন। কিংবদন্তি হয়েও নিজের আচরণে সকলকে স্বাভাবিক থাকতে সাহায্য করেন।’
ঘটনাটি ২০১৬ সালের। প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ফৈয়াজ। জিম্বাবোয়ে সফরে একটিই ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছিল। তাঁর আক্ষেপ, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলা সত্ত্বেও টেস্টে সুযোগ পাননি। আর এখন অনেকে সুযোগ পেয়েও টেস্ট খেলতে চান না! সেই সফর নিয়ে বলতে গিয়ে ভাষা হারিয়ে ফেলেন ফৈয়াজ। বলেন, ‘আসলে কী বলব, সেই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না। তবে মাহি ভাইয়ের হাত থেকে ডেবিউ ক্যাপ, দলের জন্য অবদান রাখতে পারা, দারুণ অনুভূতি। তবে আমি মনে করি, সব নিয়তি। ১৩০ কোটির উপর জনসংখ্যা। আমি দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছি, নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।’