কলকাতা: বাইশ গজে বয়সের ভেদাভেদ থাকে না। সেখানে প্রতিভাই শেষ কথা। ভারত-ইংল্যান্ড (India vs England) টেস্ট সিরিজে বার বার সেটা ফুটে উঠেছে। বিশাখাপত্তনমে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সরফরাজ খানের। বলা হচ্ছিল সরফরাজ খানের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী দেবদত্ত পাড়িক্কাল (Devdutt Padikkal)। কিন্তু সরফরাজের পর রজত পাতিদারের এই টেস্ট সিরিজে অভিষেক হওয়ায় সুযোগ পাচ্ছিলেন না দেবদত্ত পাড়িক্কাল। লোকেশ রাহুলের পরিবর্ত হিসেবে রাজকোট টেস্টের জন্য দেবদত্ত পাড়িক্কাল ডাক পান। কিন্তু রাজকোট এবং রাঁচি টেস্টেও দেবদত্ত সুযোগ পাননি। অবশেষে ধরমশালা টেস্টে সুযোগ পান দেবদত্ত। আর সেই সুযোগ দারুণ ভাবে কাজে লাগান কর্নাটকের ২৩ বছরের ব্যাটার।
ধরমশালায় চার নম্বরে নামার সুযোগ পেয়েছেন দেবদত্ত। ফ্রন্টফুটে পা ফেলতে গিয়ে পেসার, স্পিনারদের বিরুদ্ধে শুরুর দিকে সমস্যায় পড়ছিলেন দেবদত্ত। দেশের জার্সিতে প্রথম টেস্ট। স্বাভাবিকভাবেই একটা টেনশনের ছাপ ফুটে উঠছিল দেবদত্তর চোখে-মুখে। শুরুতে সমস্যায় পড়লেও এরপর যত সময় ক্রিজে কাটাতে থাকেন তিনি, ততটা সাবলীল হন। ধীরে ধীরে রান যখন পান দেবদত্ত, তাঁকে আত্মবিশ্বাসী দেখায়। তাঁর মধ্যে যে মশলা রয়েছে তা প্রমাণ করতে থাকেন। নতুন বল আসার পর ৮২তম ওভারে জেমস অ্যান্ডারসনের শেষ বলে যেভাবে দেবদত্ত বাউন্ডারি মারেন, তা ছিল দেখার মতো।
দেখতে দেখতে হাফসেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকেন কর্নাটকের বাঁ হাতি ব্যাটার। চা বিরতির আগে দেবদত্ত ছিলেন ৭৭ বলে ৪৪ রানে। এরপর চা বিরতি থেকে ফিরে আর কয়েকটা বল খেলেই টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম অর্ধশতরান পূরণ করেন দেবদত্ত। ৮৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করার পথে দেবদত্ত মেরেছেন ৮টি চার ও ১টি ছয়। দেবদত্তর হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। তিনি এগিয়ে এসে দেবদত্তকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান। চলতি বছরটা এখনও অবধি দারুণ কেটেছে দেবদত্ত পাড়িক্কালের। জানুয়ারি থেকে এখনও অবধি ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্নাটকের হয়ে এবং ইন্ডিয়া এ-র হয়ে ৪টি শতরান করেছেন। এ বার দেশের জার্সিতে দ্যুতি ছড়ানোর পালা।
যে শোয়েব বশিরের বলে ছয় মেরে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন দেবদত্ত, তাঁর ডেলিভারিতেই বোল্ড হন। ডেবিউ টেস্ট খেলতে নেমে শেষ অবধি ১০৩ বলে ৬৫ রান করে মাঠ ছাড়েন দেবদত্ত পাড়িক্কাল।