অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গটা এখনও প্রাসঙ্গিক। বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ঈশান কিষাণ ও শ্রেয়স আইয়ার। জাতীয় দলে তাঁরা যে নিয়মিত ছিলেন তা নয়। সে কারণেই সুযোগ ছিল নিয়মিত হওয়ার। এর জন্য ক্রিকেটই তো খেলতে হত! যদিও লাল-বলের ক্রিকেটে অনিহা তাদের ভবিষ্যৎ যেন অনিশ্চিত করে তুলেছে। ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন শ্রেয়স আইয়ার। আর এক তরুণ ঈশান সেই তিমিরেই। জাতীয় দলে এই দু-জনের দরজা কি বন্ধ হয়ে গেল? ঈশান-শ্রেয়সকে বিশেষ বার্তা দিলেন ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ। ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টের পরই চোটের কারণে সরতে হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। খুব তাড়াতাড়িই অবশ্য ফিট হয়ে উঠেছিলেন। অথচ রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেননি শ্রেয়স। তিনি আইপিএলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তার চেয়েও বড় কথা, মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচকদের জানিয়েছিলেন তাঁর চোট রয়েছে। অথচ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তরফে জানানো হয়, শ্রেয়স অনেক আগেই ফিট হয়ে গিয়েছেন। চোটের অজুহাতে কোয়ার্টার ফাইনালে না খেলায় শ্রেয়সের উপর চটেছিল বোর্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজের আগে স্কোয়াড থেকে নাম তুলেছিলেন কিপার ব্যাটার ঈশান কিষাণ। বারবার বলা সত্ত্বেও রঞ্জি ট্রফিতে খেলেননি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের ম্যাচে টেস্ট সিরিজে পাওয়া যায়নি তাঁকে। সব কিছুর প্রভাব পড়েছে চুক্তিতে। ধরমশালা টেস্টের পর ভারতীয় দলের হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেন, ‘বোর্ডের চুক্তিতে কারা থাকবে সেটা আমি ঠিক করি না। সেটা নিয়ে আলোচনাও করি না। কী যোগ্যতায় এই চুক্তিতে রাখা হয়, আমার সেটাও পরিষ্কার জানা নেই। এটুকু বলতে পারি, দুই ক্রিকেটারই ভাবনায় রয়েছে। আশা করব, ওরা ফিট থাকলে খেলবে এবং পারফর্ম করে নির্বাচকদের বাধ্য করবে টিমে নিতে। চুক্তির বাইরে থাকলে জাতীয় দলে সুযোগ পাবে না, এমন নয়।’