রান তাড়া বরাবরই পছন্দ হরমনপ্রীত কৌরের। পরিসংখ্যান বলছে, উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্লে-অফে কখনও হারেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। রেকর্ড ভেঙে গেল। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয় সংস্করণে সকলের আগে হরমনপ্রীতরাই প্লে-অফ নিশ্চিত করেন। তবে ফাইনালে ওঠা হল না। লিগ পর্বে আরসিবির কাছে হেরেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এলিমিনেটর ম্যাচে ৯০ শতাংশ সময় তারাই অ্যাডভান্টেজ ছিল। শেষ ২ ওভারে হাওয়া বদল। প্রথম বার ফাইনালে আরসিবি। তাঁদের অপেক্ষায় দিল্লি ক্যাপিটালস। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গত মরসুমের তুলনায় ভালো পারফর্ম করছিল আরসিবি। তবে ধারাবাহিকতা নিয়ে অস্বস্তি ছিলই। প্রথম সংস্করণে লিগ পর্বেই ছিটকে গিয়েছিল। এ বার ফাইনালে আরসিবি। এলিমিনেটর ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শুরুতেই অদ্ভূত ঘটনা। সোফি ডিভাইন স্ট্রাইকে। বোলিংয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা পেসার শবনিম ইসমাইল। বল সোফির ব্যাট থেকে বুটে লাগে। উইকেটের সঙ্গে বলের কোনও সংযোগ হয়নি। অথচ উইকেটের লাইট জ্বলে ওঠে। সকলেই অবাক হয়ে যান।
সোফি ডিভাইনের ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। হেইলি ম্যাথুজের বলে বোল্ড হোন তিনি। পরের ওভারেই বড় শট খেলতে গিয়ে ন্যাট সিবারের বোলিংয়ে আউট আরসিবি ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। চারে নামা দিশা কাসাত ডট বলের চাপে আউট। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে আরসিবি। ক্রিজে এলিস পেরির সঙ্গে যোগ দেন ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ। এই জুটি একটা সম্ভাবনা তৈরি করলেও দ্রুতই ভাঙে। রান রেন বাড়ানোর চেষ্টায় আউট রিচাও। আরসিবি ইনিংসকে কার্যত একার হাতে টানেন এলিস পেরি। তাঁর ৫৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংসের সৌজন্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নকআউটের ম্যাচে এই রান কম বলা যায় না। যদিও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
শেষ দিকে ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস হয়ে ওঠে। ১৩৬ রান তাড়ায় নেমেছিল মুম্বই। দলীয় ১২০ রানে ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীতের উইকেট হারায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তখনও ২ ওভারে বাকি ১৬ রান। ক্রিজে তুলনামূলক অনভিজ্ঞ দুই ব্যাটার। আরসিবি সমর্থকরা আশা হারাননি। আর স্মৃতির আস্তিনে লুকোনো ছিল ‘আশা’। হ্যারির আউটে চাপে পড়েছিল মুম্বই। স্লগ ওভার স্পেশালিস্ট সোফি মলিনিউ স্নায়ুর চাপ সামলে ১৯তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেন।
𝗠𝗮𝗶𝗱𝗲𝗻 #𝗧𝗔𝗧𝗔𝗪𝗣𝗟 𝗙𝗶𝗻𝗮𝗹 𝗳𝗼𝗿 𝗥𝗖𝗕 👏@RCBTweets secure a 5-run win over #MI in an edge of the seat thriller in Delhi 📍🤝
They will now play @DelhiCapitals on 17th March! ⌛️
Scorecard ▶️https://t.co/QzNEzVGRhA#MIvRCB | #Eliminator pic.twitter.com/0t2hZeGXNj
— Women’s Premier League (WPL) (@wplt20) March 15, 2024
শেষ ওভারে মুম্বইয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ রান। এ মরসুমেই অভিষেক হওয়া আশা শোভানাকে আক্রমণে আনেন স্মৃতি। পরিস্থিতিটা দাঁড়ায় লটারির মতো। যে কেউ জিততে পারে। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে আশা নবাগত হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পান অ্যামেলিয়া কের। তাঁকে সামলানোই চ্যালেঞ্জ ছিল আরসিবির। ৩ বলে ৮ রানের টার্গেট। বড় শট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না। জোড়া স্টাম্পিং রিচা ঘোষের। পঞ্চম বলে সিঙ্গল নিতেই ম্যাচ আরসিবির! শুধু একটা লিগ্যাল ডেলিভারি করা এবং ছয় আটকানো প্রয়োজন ছিল। আশা শোভানা সিঙ্গল দিয়ে ইঙ্গিত করেন, ‘আমি আছি তো’!