কিছুক্ষণের জন্য সবচেয়ে দামি প্লেয়ার! এ বারের আইপিএলের মিনি অকশনে ‘ঝড়’, ‘সুনামি’ দুটোই দেখা গিয়েছে। ঝড় উঠেছিল প্যাট কামিন্সকে ঘিরেই। অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারকে নিতে ঝাঁপিয়েছিল একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। ক্রমশ দর বাড়তে থাকে। শেষ অবধি ২০.৫০ কোটি টাকায় তাঁকে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই মুহূর্ত অবধি আইপিএলের নিলামে সবচেয়ে দামি প্লেয়ারের রেকর্ড প্যাট কামিন্সের দখলেই। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সানরাইজার্স প্যাট কামিন্সকে রেকর্ড দরে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই আসে সুনামি। জাতীয় দলে কামিন্সের সতীর্থ মিচেল স্টার্ককে প্রায় ২৫ কোটি টাকায় নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি প্লেয়ার হয়ে ওঠেন স্টার্ক। দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রাইস ট্যাগ কামিন্সেরই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে প্যাট কামিন্সকে বিশেষ পরিকল্পনাতেই নিয়েছিল পরিষ্কার হয়ে যায় কিছুদিনের মধ্যেই। তাঁকে ক্যাপ্টেন ঘোষণা করে সানরাইজার্স।
গত বছরের শেষ দিকে ভারতের মাটিতে হয়েছে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। অন্য় দিকে, জোড়া হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই টিমই চ্যাম্পিয়ন। ক্যাপ্টেন হিসেবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি! আইপিএলে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা নেই কামিন্সের। ধারাবাহিক ভাবে খেলেছেন, তাও নয়। এ বারও তাঁকে পুরো টুর্নামেন্টে পাওয়া যাবে তো? এই প্রশ্নটা থাকেই।
জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে টি-টোয়েন্টি নিজের পরীক্ষা নিতে চান কামিন্স। আর এর মঞ্চ হিসেবে আইপিএলের চেয়ে সেরা কী হতে পারে! তবে ফর্মে থাকলে প্যাট কামিন্স অন্যতম সেরা ‘অলরাউন্ডার’ হাতে গোনা ম্যাচে দেখা গিয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার সময় ১৪ বলে হাফসেঞ্চুরির বিধ্বংসী ইনিংসও রয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০১৪ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স দিয়েই যাত্রা শুরু কামিন্সের। একটিই ম্যাচ খেলেছিলেন। পরের মরসুমে ৩ ম্যাচ।
২০১৭ সালে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দেন কামিন্স। ১২ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০২০-২০২২, তিন মরসুম কেকেআরে খেলেন। ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের জন্য ২০২৩-এর আইপিএলে ছিলেন না। এ বার রেকর্ড দরে সানরাইজার্সে। নেতৃত্বও দেবেন। একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, ওয়ান ডে বা টেস্টে নেতা হিসেবে সাফল্য পেলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্য়াটে আদৌ…!