কলকাতা নাইট রাইডার্স একাদশে কোন চার বিদেশি খেলবে এ নিয়ে কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা ছিল। বিশেষ করে কিপার-ব্যাটার পজিশনে। কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্তও বলা যেতে পারত, রহমানউল্লাহ গুরবাজ অটোমেটিক চয়েস। শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলে যায়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে একাদশে জায়গা পান নতুন নাইট ফিল সল্ট। আইপিএলের মিনি অকশনে কেউই তাঁকে নেয়নি। জেসন রয় সরে দাঁড়ানোয় কেকেআরে লাস্ট মিনিট এন্ট্রি হয়। আর সরাসরি নাইট জার্সিতে অভিষেক হল শনিবারের ইডেনে। প্রথম ম্যাচে তাঁর যা পারফরম্যান্স, আপাতত স্বস্তিতেই টিম ম্যানেজমেন্ট।
মরসুমের প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে টস হেরে ব্যাটিং করে কেকেআর। পাওয়ার প্লে-তেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। ওপেনার ফিল সল্ট একদিক আগলে রাখেন। শুধু তাই নয়, উল্টোদিকে উইকেট পড়লেও রানের গতি কমতে দেননি ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার। কেকেআরের প্রস্তুতি ম্যাচগুলিতে নজর কেড়েছিলেন সল্ট। সে কারণেই গুরবাজের আগে তাঁকে একটা সুযোগ দিয়েছিল কেকেআর। প্রথম ম্যাচে ৪০ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ভিত গড়ে দেন। যদিও সল্টের মুখে শুধুই রাসেলের প্রশংসা।
কেকেআরে অভিষেক হলেও রাসেলের সঙ্গে দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলেছেন সল্ট। ড্রে রাসের এমন ব্যাটিং আগেও দেখেছেন। ক্যারিবিয়ান ক্যালিপসো নিয়ে নতুন নাইট সল্ট বলছেন, ‘হান্ড্রেডে ওর সঙ্গে খেলেছি। কতটা বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে পারে এ বিষয়ে ধারনা রয়েছে। আমার মতে বিশ্বের সেরা বল স্ট্রাইকার রাসেল। ও এই ম্যাচেও যে ভাবে একের পর এক ডেলিভারি ওড়াচ্ছিল, তাতে আমি খুশি। তবে একবিন্দুও অবাক নই। এরকম হামেশাই দেখা যায়।’
কেকেআর টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই এক অঙ্কের রানেই ফিরেছিলেন। টপ ফোরে একমাত্র সল্ট হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন। ছয়ে নামা রমনদীপকে নিয়ে একটা দুর্দান্ত জুটি গড়েন সল্ট।