ঘরের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচ হার্দিকের, আকর্ষণ শুভমন-রোহিত


ঘরের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচ। আইপিএলে এই নিয়ে তৃতীয় মরসুম শুরু করছে গুজরাট টাইটান্স। প্রতিপক্ষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। আইপিএলে অভিষেক মরসুমে হার্দিকের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স, গত মরসুমে রানার্স। এ বার সেই হার্দিক পান্ডিয়া ফিরেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। আর আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে নামবেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক হিসেবে। এই ম্যাচে আরও নানা আকর্ষণ রয়েছে।

গুজরাট টাইটান্সকে নেতৃত্ব দেবেন শুভমন গিল। বড় মঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। আইপিএলের মঞ্চে শুভমনের জোড়া ভূমিকা। একদিকে ওপেনিং সামলানো, অন্য দিকে নেতৃত্ব। তবে শুভমনকে সহযোগিতা করার জন্য টিমে অনেকেই রয়েছেন। ঋদ্ধিমান সাহা, কেন উইলিয়ামসন, রশিদ খান। শেষের দু-জনের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা প্রচুর। তেমনই কিপার ঋদ্ধিমানের চেয়ে ফিল্ড প্লেসমেন্ট আর কে ভালো বুঝবেন!

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিপক্ষ শুধুই গুজরাট টাইটান্স টিম নয়। প্রথমে নিজেদেরও টিম হয়ে ওঠার পালা। রোহিতের নেতৃত্বে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বারও তাঁকে অধিনায়ক করেই প্লেয়ার রিটেইন করা হয়েছিল। নিলামের আগে ট্রেডিংয়ে টাইটান্স থেকে হার্দিককে নেওয়া হয়। রোহিতকে সরিয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করা হয়। এতে যেমন সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন ছিল, তেমনই টিমের মধ্যেও ‘টিম’ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও রোহিতকে সরানো অনেক প্লেয়ারই মেনে নিতে পারেননি।

ফুল ফিট না থাকায় সূর্যকুমার যাদবকে এই ম্যাচে পাবে না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। মাঝের ওভারে ৯.১ রেটে রান করেছে মুম্বই। এর অন্য়তম কারণ সূর্যকুমার যাদব। মাঝের ওভারে সূর্যর স্ট্রাইকরেট থাকত প্রায় ১৮৫! নেতৃত্বের চাপ না থাকায় ব্য়াটিংয়ে মনযোগের পালা রোহিতের। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, রোহিত যদি ব্যাটিংয়ে প্রথম কয়েক ম্যাচে ভরসা দিতে না পারেন, ক্যাপ্টেন হার্দিক কি তাঁকে বাদ দেবেন? ভাবনাটা অমূলক নয়। আইপিএলে গত ৩০ ইনিংসের মধ্যে ২০টিতেই পাওয়ার প্লে-তে আউট হয়েছেন রোহিত। ফলে তাঁর ব্য়াটে বড় স্কোর আসেনি। যদিও দেশের জার্সিতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। সদ্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন।

নজর দেওয়া যাক গুজরাট শিবিরে। তাদের সেরা পেসার মহম্মদ সামি চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন। পেস বোলিং লাইন আপটাই কার্যত নতুন। শুভমনের ট্রাম্পকার্ড হয়ে উঠতে পারেন অজি বাঁ হাতি পেসার স্পেন্সর জনসন। সঙ্গে উমেশ যাদব এবং মোহিত শর্মার মতো অভিজ্ঞ পেসার। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে আর একজনের কথা ভোলার কথা নয়। ঈশান কিষাণ। বোর্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেননি। আইপিএলে খেলছেন। জাতীয় দলের দরজা খুলতে হলে, অবিশ্বাস্য কিছু পারফর্ম করতে হবে।

Leave a Reply