জয় দিয়ে শুরু, তরুণ শুভমনের মুখে শুধুই বোলারদের কথা…


এই ম্যাচ জেতা যায়! শুভমন গিলও হয়তো তাই ভাবছিলেন। কিন্তু তাঁর হাতে যে অস্ত্র ছিল! সামনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মতো শক্তিশালী দল। একঝাঁক পাওয়ার হিটার। শেষ ৬ ওভারে চাই মাত্র ৪৮। হাতে সাত উইকেট। শিশিরের প্রভাব। ফলে ব্যাটারদের জন্য আদর্শ সময়। এরপরও ৬ রানে জয় গুজরাট টাইটান্সের। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক শুভমন গিলের। আর প্রথম ম্যাচেই এমন পরিস্থিতি থেকে জয়। উচ্ছ্বাসে ভাসবেন সেটাই স্বাভাবিক। তবে ভুলছেন না সতীর্থদের কৃতিত্ব।

তরুণ শুভমন গিলের হাতে টাইটান্সের দায়িত্ব পড়ায় অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। প্রথম পরীক্ষায় পাশ শুভমন গিল। ম্যাচ শেষে বলছেন, ‘স্লগ ওভারে সকলে যে ভাবে স্নায়ুর চাপ ধরে রেখেছে তা কোনও প্রশংসাই যথেষ্ঠ নয়। আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। শিশিরের প্রভাব প্রচুর ছিল। এরপরও দুই স্পিনার রশিদ খান ও সাই কিশোর যে ভাবে বোলিং করেছে, ওরা কিন্তু আমাদের ম্যাচে রেখে দিয়েছে। বাকি সময়টা আমাদের পালা ছিল, ওদের উপর চাপ তৈরি করা। নিজেদের স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে আমরা সেটা করতে পেরেছি।’

গত মরসুম অবধিও একাদশে নিশ্চিত ছিলেন না বাঁ হাতি স্পিনার সাই কিশোর। ২০২২ সালে পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে একটিও ম্যাচ নয়। আর এ বার প্রথম ম্যাচেই সুযোগ। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়েছেন। শিশিরের মধ্যে একজন স্পিনারের বল গ্রিপ করাই যেখানে চাপের। মুম্বইয়ের সেরা ব্যাটার রোহিত শর্মাকে ফেরান সাই। এরপর থেকেই ম্যাচে ফেরে টাইটান্স। আর এক স্পিনার রশিদ খান উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়েছেন।

Leave a Reply