ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মরসুমে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম ম্যাচটি ছিল অ্য়াওয়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল আরসিবির। ঘরের মাঠে এ মরসুমের প্রথম ম্যাচ। বিরাট কোহলির সঙ্গে এই শহরের টান কারও অজানা নয়। প্র্যাক্টিসেই বিরাটকে দেখতে যে ভিড় জমে তা চমকে দেওয়ার মতোই। ম্যাচে বিরাটকে দেখতে গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। দর্শকভর্তি চিন্নাস্বামীতে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিরাট রেকর্ড কোহলির।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব কিংস। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছিল পঞ্জাব। যদিও রান উঠেছিল মাত্র ৪০। মিডল ওভারে অনবদ্য বোলিং ম্যাক্সওয়েলের। পাওয়ার প্লে-তে পঞ্জাব শিবিরে প্রথম ধাক্কা মহম্মদ সিরাজের। জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান তিনি। সার্কেলের মধ্যেই ক্যাচ। অপেক্ষায় ছিলেন ম্যাক্সওয়েল ও বিরাট কোহলি দু-জনেই। বিরাট ভালো পজিশনে থাকায় তাঁকেই ক্যাচ নিতে দেন ম্যাক্সি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেয়ারস্টোকে আউট করার এই ক্যাচটি বিরাটের ১৭৩ নম্বর। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ছিল সুরেশ রায়নার। দেশের হয়ে দীর্ঘ সময় খেলেছেন রায়না। পাশাপাশি চেন্নাই সুপার কিংসেরও বড় ভরসা ছিলেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সুরেশ রায়নার ক্যাচের সংখ্যা ১৭২। জনি বেয়ারস্টোর ক্যাচ নিয়ে রায়নাকে ছাপিয়ে যান বিরাট। এরপর শিখর ধাওয়ানের ক্যাচও নেন বিরাট কোহলিই।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বিরাট কোহলির ক্যাচের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭৪। ভারতীয়দের মধ্যে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রইলেন সুরেশ রায়না। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জাতীয় দলের বর্তমান ক্যাপ্টেন তথা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ওপেনার রোহিত শর্মা। তিনি ১৬৭টি ক্যাচ নিয়েছেন।