মরসুমের প্রথম পয়েন্ট। হার দিয়ে এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে জয়ে মূল্যবান পয়েন্ট। ঘরের মাঠে রান তাড়ায় বিরাট কোহলি শুরুটা দুর্দান্ত করলেও শেষ দিকে চাপে পড়ে আরসিবি। ম্যাচ হাত থেকে প্রায় বেরিয়েই যাচ্ছিল। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা মহীপাল লোমরোর এবং অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিক দুর্দান্ত ফিনিশ করেন। ৪ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয়। ভিতটা অবশ্য গড়ে দিয়েছিল বিরাট কোহলির ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।
পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে একঝাঁক পুরস্কার বিরাট কোহলির ঝুলিতেই। তাঁর ইনিংসে মুগ্ধ ক্যাপ্টেন ফাফ ডুপ্লেসিও। প্রায় ২ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন বিরাট। প্রত্যাবর্তনে প্রথম ম্যাচে সেট হলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি চেন্নাইয়ের মাঠে। বেঙ্গালুরুর জয়ে দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলেছেন। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। আইপিএলের গত সংস্করণে আরসিবির ৭০ শতাংশ রানই এসেছিল টপ থ্রি ব্যাটার বিরাট, ডুপ্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলের সৌজন্যে। মিডল অর্ডার চিন্তা এ বারও রয়েছে।
মরসুমের প্রথম জয়ের পর আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি বলছেন, ‘বিরাটের ক্রিজে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও খেলাটা উপভোগ করছে। আবেগ দিয়ে খেলছে। মানসিক ভাবে তরতাজা এবং আত্মবিশ্বাসীও। বিরাট মাঠে থাকায় বাইরে আমি শান্তই ছিলাম। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে যতটা সম্ভব পয়েন্ট নিতে হবে। বিরাট ক্রিজে থাকায় মনে হয়েছিল, ম্যাচটা অনেক আগেই জিতে যাব।’
ইনিংসের ১৬তম ওভারে বিরাট আউট হতেই চাপে পড়ে আরসিবি। তবে অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিক এবং ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা মহীপাল লোমরোর দলের জয় নিশ্চিত করেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকায় ডুপ্লেসির ভরসা ছিল, মহীপাল-দীনেশ ওভার প্রতি ১৪-১৫ রান তুলতে পারবে। সেটাই করে দেখান কার্তিক ও মহীপাল।