একটা জয় টিমের মুড পাল্টে দেয়। একটা হারে পরিস্থিতি বদলেও যায়। দু-দলের জন্য দু-রকম পরিস্থিতি। হার দিয়ে এ বারের আইপিএল শুরু হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এরপর ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অনবদ্য জয়ে টিমের মেজাজ পাল্টে গিয়েছিল। যদিও গত ম্যাচে ঘরের মাঠেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইন আপে তারকার অভাব নেই। তারপরও যেন নানা অভাব।
গত মরসুমে আরসিবি ব্যাটিংয়ের মূল শক্তি ছিল টপ থ্রি। ফাফ ডুপ্লেসি-বিরাট কোহলির ওপেনিং জুটি ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছিল। তিনে ভরসা ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। এ বার ক্যামেরন গ্রিন যোগ দেওয়ায় আরসিবি মিডল অর্ডার আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। কেকেআরের বিরুদ্ধে বিরাটের ৮২ রানের ইনিংস ভরসা দিয়েছিল। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়ায় রানের গতি বাড়াতে হিমশিম খেয়েছেন বিরাট কোহলিও।
লখনউ সুপার জায়ান্ট এ বারের টুর্নামেন্ট হার দিয়ে শুরু করলেও দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়েছে তারা। চিন্তার বিষয় লোকেশ রাহুলের ফিটনেস। গত ম্যাচে ক্যাপ্টেন্সি করেননি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে শুধুমাত্র ব্যাটিংয়ে নামানো হয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। আদৌ তিনি পুরো ম্যাচ খেলার মতো ফিট কিনা, এই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। নিকোলাস পুরান অবশ্য দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। তেমনই ব্যাট হাতেও অবদান রেখেছেন।
ঘরের মাঠে লখনউয়ের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন এক তরুণ ভারতীয় পেসার। আইপিএল অভিষেকেই হইচই ফেলে দিয়েছেন। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে সেই মায়াঙ্ক যাদবকে যখন বোলিংয়ে আনা হয়, শিখর ধাওয়ান-জনি বেয়ারস্টোর শতরানের ওপেনিং পার্টনারশিপ হয়েছে। মায়াঙ্ক এসেই ম্যাচের রং বদলে দেন। সবচেয়ে বড় চমক তাঁর গতি। আইপিএল অভিষেকে শুরুটাই করে ১৪৭ কিমি/ঘণ্টায়। স্পেলের দ্বিতীয় ওভারে ১৫০, এমনকি ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টায় বোলিং করেন। গতিতেই বাজিমাত করেছেন মায়াঙ্ক। সঙ্গে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ।
অভিষেক ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতেছেন মায়াঙ্ক যাদব। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর প্রতি প্রত্যাশাও বাড়ছে। বেঙ্গালুরুর ছোট মাঠ। বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং তারকা সমৃদ্ধ হলেও ধারাবাহিক নয়। তবে ডুপ্লেসি-বিরাট জুটি ছন্দে থাকলে যা কিছুই হতে পারে। এটাই যেন আকর্ষণীয় লড়াই হতে চলেছে।