বিশাখাপত্তনমেই এ মরসুমের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম দু-ম্যাচর জন্য ঋষভদের হোম গ্রাউন্ড। গত ম্যাচে এই মাঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বোলাররা। কিন্তু পরিস্থিতি এত দ্রুত বদলে যাবে তা হয়তো প্রত্য়াশা করতে পারেননি ঋষভ পন্থ। তাঁর দলের ফিল্ডিংও এর জন্য দায়ি। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার।
মরসুমের প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লে-তে ভরসা দিতে পারেননি কেকেআরের দুই ওপেনার। ফিল সল্ট একদিকে থাকলেও নারিন রান আউট হয়েছিলেন। গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লে-তে বিধ্বংসী ব্যাটিং সুনীল নারিন ও ফিল সল্টের। সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন নারিন। অল্পের জন্য আইপিএলের ইতিহাসে তৃতীয় কেকেআর ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করা হল না সুনীল নারিনের।
আইপিএলের প্রথম সংস্করণের উদ্বোধনী ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ওপেনার ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আরও এক সেঞ্চুরিয়ন পায় কেকেআর। গত মরসুমে সেঞ্চুরি করেছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। সুনীল নারিন যে ভাবে ব্যাট করছিলেন, পরিস্থিতি সেদিকেই এগোচ্ছিল। শুরুটা সতর্ক হলেও দ্রুতই নারিন ঝড় আছড়ে পড়ে ভাইজ্যাগে। ২১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সুনীল নারিন।
Sunil Narine at it again 🔥🔥@KKRiders are off to some start in Vizag!
Head to @JioCinema and @StarSportsIndia to watch the match LIVE#TATAIPL | #DCvKKR pic.twitter.com/UipTFUHznQ
— IndianPremierLeague (@IPL) April 3, 2024
তাঁর মানের ব্যাটারের ক্যাচ ফেললে কী হতে পারে টের পেল দিল্লি ক্যাপিটালস। ব্যক্তিগত ৫২ রানে সুনীল নারিনের ক্যাচ ফসকান সুমিত কুমার। অবশেষে সাফল্য মেলে ১৩ তম ওভারে। ৩৯ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সুনীল। সাতটি করে চার ও ছয় তাঁর ইনিংসে। আইপিএল কেরিয়ারে এটিই সুনীল নারিনের সর্বাধিক স্কোর। নারিনের ব্যাটিং এবং ক্যাচ ফেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল দিল্লি ক্যাম্পে। গভীর চিন্তায় দেখা যায় ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। নারিন আউট হতেই সাময়িক স্বস্তি।