অভিষেক ম্যাচে ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা। তৃতীয় ম্যাচে কত স্পিড তুলবেন মায়াঙ্ক যাদব? এই প্রশ্নটা যেন অনেকেরই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন মাত্র দুটি ম্যাচ। তাঁর ইমপ্যাক্ট অনেক বেশি। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে গতির সঙ্গে পারফরম্যান্সও উন্নত হল। ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট। আইপিএলে ম্যাচ দুটি, সেরার পুরস্কারও জিতলেন দু-ম্যাচেই। তাঁক এ বার জাতীয় দলে খেলানোর দাবি তুলে দিলেন দেশের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের পেস সেনসেশন মায়াঙ্কে মুগ্ধ অনেকই। তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগও। এক্সপ্রেস গতিতে অনেকেই হয়তো বোলিং করতে পারবেন। মায়াঙ্কের নিয়ন্ত্রণ, লাইন-লেন্থে মুগ্ধ বীরু। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচেই ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা গতি তোলেন মায়াঙ্ক। দ্বিতীয় ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে নিজেকেই ছাপিয়ে যান। দু-ম্যাচেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। বিরাটদের বিরুদ্ধে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বোলিং করেছেন।
ভারতীয় পেসারদের মধ্যে উমরান মালিক আইপিএলে ১৫৭ কিমি স্পিড তুলেছিলেন। মায়াঙ্কের কথা অন্য কারণে তুলছেন বীরু। দেশের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ বলছেন, ‘উমরান মালিক এবং মায়াঙ্কের মধ্যে মূল পার্থক্য হল, মায়াঙ্কের লাইন নিখুঁত। উমরানও এক্সপ্রেস গতিতে বোলিং করতে পারে। তবে উমরান কিন্তু লাইন লেন্থে উন্নতি করতে পারেনি। মায়াঙ্কের লাইন, লেন্থ দুর্দান্ত। মায়াঙ্ক জানে ওর গতি রয়েছে। কিন্তু লাইন লেন্থ ভুল হলে তার খেসারত দিতে হবে। ঠিক এই কারণেই আমি মনে করি, যদি ফিট থাকে আইপিএলের পরই ওকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলানো উচিত।’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে তিন উইকেট এবং সেরার পুরস্কার জিতে মায়াঙ্ক নিজেও লক্ষ্যর কথা জানিয়েছেন। তাঁর পরিস্কার কথা, জাতীয় দলের হয়ে যত বেশি সম্ভব খেলতে চান। এর জন্য অবশ্য আরও পরীক্ষা দিতে হবে মায়াঙ্ককে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তিনি যে ভাবে ঠান্ডা মাথায় পারফর্ম করছেন, সেই দিন হয়তো দূরে নয়। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন হয়তো দ্রুতই পূরণ হবে।