জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে কি জসপ্রীত বুমরার বোলিং সঙ্গী হিসেবে দেখা যাবে মায়াঙ্ক যাদবকে? আইপিএলে সবে দুটো ম্যাচ খেলেছেন মায়াঙ্ক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই পেসার হইচই ফেলে দিয়েছেন। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে একটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। তবে আইপিএলে দুটো ম্যাচেই বুঝিয়ে দিয়েছেন এক্সপ্রেস গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ থাকলে, সেই কম্বিনেশন কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বছর দুয়েক আগেই মায়াঙ্ক যাদবকে নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত সংস্করণে তাঁর খেলারও কথা ছিল। প্রস্তুতি ম্যাচে চোটের কারণে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন। অবশেষে এ বার লখনউয়ের দ্বিতীয় ম্যাচ অর্থাৎ পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় দিল্লির পেসার মায়াঙ্কের। প্রথম ম্যাচেই ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা গতিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। পরের ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট। আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম দু-ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতেছেন মায়াঙ্ক।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের তরুণ পেসারকে নিয়ে অনেকেই আশাবাদী। ইয়ান বিশপের মতো কিংবদন্তি পেসার মনে করছেন মায়াঙ্ককে বোর্ডের পেস বোলারদের চুক্তিতে রাখা উচিত। তেমনই দেশের প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র সেওয়াগ মনে করছেন, গতির পাশাপাশি বোলিংয়ে যাঁর এত সুন্দর নিয়ন্ত্রণ, ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে আইপিএলের পরই ওকে জাতীয় দলে খেলানো উচিত। দেশের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার মায়াঙ্ককে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে দেখছেন।
বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা দেশের অন্যতম সফল ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি বলছেন, ‘আমি যদি অজিত আগরকরের জায়গায় থাকতাম, মায়াঙ্ককে নিঃসন্দেহে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাখতাম। জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি এবং তারপরই ওকে। মায়াঙ্কের ফর্ম, বোলিং অ্যাকশন, রিলিজ, নিয়ন্ত্রণ। ও বড় মঞ্চে সুযোগ পেলে নজর কাড়বে। আইপিএলে বিদেশের তারকা ক্রিকেটাররাও খেলছে। তাদের বিরুদ্ধে ভালো পারফর্ম করায় মায়াঙ্কের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে।’