এমন একটা পরিস্থিতি আসবে, এটা যেন প্রত্যাশা করেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর কাছে সবই যেন ঠিকঠাক ছিল। এক বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন, এরপর রানার্স। দল বদল করেই সব এলোমেলো। দলের হাল ফেরানোর লড়াই। তেমনই ভালোবাসার খোঁজ। সব মিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে হার্দিক পান্ডিয়া। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বার হারের হ্যাটট্রিকে মরসুম শুরু হয়েছে। অস্বস্তি বাড়ছে ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে।
মন্থর শুরু মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে নতুন নয়। ২০১৫ সালেও এমন হয়েছিল। সে বারই মুম্বই টিমে আইপিএল কেরিয়ার শুরু হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টানা হারে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল। হঠাৎই চিত্রটা বদলে গিয়েছিল। পরপর জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা। চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। হার্দিক পান্ডিয়াও যেন সেই পরিসংখ্যানে ভরসা রাখছেন।
মুম্বই এ বার প্রথম দুটি ম্যাচ খেলেছে বাইরে। আমেদাবাদে জয়ের পরিস্থিতি থেকে হার। হায়দরাবাদে হাইস্কোরিং ম্যাচে ব্যাটিং বিভাগ ভরসা দিয়েছিল মুম্বইকে। কিন্তু বোলিংয়ের হাল বেহাল ছিল। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি গত ম্যাচে ঘরের মাঠে। রাজস্থান রয়্যালসের দুই বাঁ হাতি পেসার বেলাইন করেছিল মুম্বই ব্যাটিংকে। গত কয়েক বছর মাঝের ওভারে মুম্বইয়ের রান রেট ঠিক থাকার অন্যতম বা বলা ভালো প্রধান কারণ ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রিকে চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে পায়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তিনি ফিরেছেন। মুম্বইও জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারে কিনা, সেদিকে নজর।
ওয়াংখেড়েতে আজ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রতিপক্ষ দিল্লি ক্যাপিটালস। এ মরসুমে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছেন ঋষভ পন্থরা। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে হারের হ্যাটট্রিক আটকেছিল দিল্লি। যদিও গত ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত দিল্লি শিবির। ঋষভ পন্থদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর বিশাল চ্যালেঞ্জ। ব্যাটিংয়ে যেমন মুম্বই শিবিরে ফিরছেন স্কাই, তেমনই ছন্দে রয়েছেন আকাশ।