লখনউয়ের কথা বললে সব কিছুর আগে যেটা মনে পড়বে, মুসকুরাইয়ে আপ হ্যায় লখনউ মে। হাসার মতো পরিস্থিতি গুজরাট টাইটান্স টিমের রয়েছে কি? আপাতত না। ঘরের মাঠে গত ম্যাচে হেরেছে গুজরাট। তার আগে ঘরে দুটি ম্যাচ জিতেছিল। এ বারের একমাত্র হার ছিল সিএসকের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে। ঘরের মাঠে অপরাজিত থাকা হয়নি। পঞ্জাব কিংসের কাছে হেরেছিল টাইটান্স। সেই ম্যাচের দুর্দান্ত প্রাপ্তি ছিল শুভমন গিলের ইনিংস।
আইপিএলের গত সংস্করণে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক শুভমন গিল। এ বার ফর্ম হাতরে বেড়াচ্ছিলেন। শুরুটা ভালো করলেও বড় ইনিংস আসছিল না। গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন শুভমন। ক্যাপ্টেন হওয়ার পর প্রথম হাফসেঞ্চুরি। যদিও সেই ইনিংস ব্য়র্থ হয়ে যায়। পঞ্জাব কিংসের এক অনামী ক্রিকেটার শশাঙ্ক সিং তারকা হয়ে ওঠেন। এ বার অ্যাওয়ে ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। মায়াঙ্ক যাদব।
রাজধানী এক্সপ্রেস হিসেবে নাম উজ্জ্বল করছেন মায়াঙ্ক যাদব। আইপিএলে মাত্র দু-ম্যাচেই প্রতিপক্ষর ত্রাস হয়ে উঠেছেন। ১৫০ কিমি/ঘণ্টা নিয়মিত বোলিং করতে পারেন। প্রথম ম্যাচে ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা স্পিড তুলেছিলেন। পরের ম্যাচে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে কত স্পিড তুলবেন, তারই যেন প্রত্যাশা। লখনউ শিবিরে স্বস্তি ব্যাটিং বিভাগও। বিশেষ করে বলতে হয় নিকোলাস পুরানের কথা। প্রতি ম্যাচেই ভরসা দিচ্ছেন। গত ম্যাচে পুরানের পাশাপাশি মার্কাস স্টইনিসও ব্যাটে-বলে ভরসা দিয়েছেন।
লখনউ শিবিরে আরও একটা বড় স্বস্তি তাদের ফিল্ডিং। যেটা গুজরাট টাইটান্সের অন্যতম দুর্বলতা হয়ে দেখা দিয়েছে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট হোক বা দীর্ঘ, ক্যাচ ফেললে, ফিল্ডিং মিস হলে তার ফল ভুগতে হবেই। যেটা গুজরাট গত ম্যাচে খুব ভালো ভাবেই টের পেয়েছে।