কয়েক সপ্তাহ আগেও তাঁর পরিচিতি ছিল উঠতি প্রতিভা হিসেবে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। লিস্ট এ (ওয়ান ডে ফরম্যাট) ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন। কিংবদন্তি এবি ডিভিলিয়ার্স ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। গত বছর অক্টোবরে ২৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুক। আইপিএলে সুযোগ হঠাৎ করেই। ব্যক্তিগত কারণে ইংল্যান্ডের ব্যাটার হ্যারি ব্রুক সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তেমনই চোটে ছিটকে যান প্রোটিয়া পেসার লুনগি এনগিডি। আদতে হ্যারি ব্রুক নয়, পেসার এনগিডির পরিবর্ত হিসেবেই সই করানো হয় অজি তরুণ জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুককে। অবশেষে সুযোগ মিলল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ডাগ আউটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রিকি পন্টিংয়ের মতো বিশ্বের দুই সেরা ব্যাটার এবং ক্যাপ্টেনকে কোচিং টিমে পাওয়া যে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের কাছেই ভাগ্যের ব্যাপার। ২২ বছরের জ্যাকের কাছেও তাই। তবে বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দল পেলেই একাদশে কিংবা খেলার সুযোগ মিলবেই, এই নিশ্চয়তা থাকে না। ম্যাকগুরুক প্র্যাক্টিসে ঝড় তুলেছেন। তাঁকে খেলানোর ইচ্ছে থাকলেও ভরসা করে উঠতে পারছিল না টিম ম্যানেজমেন্ট। অবশেষে সুযোগ মিলল।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সের পর সৌরভ-পন্টিংদের নিয়ে বলছেন, ‘৫-৬টা ম্যাচ বেঞ্চে বসে উত্তেজনা বাড়ছিল। মনে হচ্ছিল, কবে ক্রিজে নামতে পারব। মাথায় একটা বিষয়ই ছিল, অযথা ক্রস ব্যাটে শট খেলব না। গত এক বছর যে ভাবে সাফল্য পেয়েছি, সেটাই চেষ্টা করার লক্ষ্য ছিল। কভারের উপর দিয়ে মারা শটটা বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। অফসাইডে খুব বেশি শট খেলি না। সে কারণেই ওটা স্পেশাল।’
প্রথম বার আইপিএলের মঞ্চে। হাতে গোনা ম্যাচে পরিবর্ত ফিল্ডার হিসেবে নামার সুযোগ হয়েছে। ক্যাচও নিয়েছিলেন। অবশেষে অভিষেক। আইপিএলের অভিজ্ঞতা কেমন? জ্যাক বলছেন, ‘পাওয়ার প্লে-তে ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক কিছু শিখতে হবে। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে ক্রিকেটের আলাদা একটা জগতে পৌঁছে গিয়েছি। এরকম আগে কখনও দেখিনি। আশা করছি, টুর্নামেন্টের বাকি সময়টাও উপভোগ করতে পারব।’