‘এমনটা হবে ভাবিনি…’, কাঁধ ঝুঁকে গেল নাইট অধিনায়কের!


আইপিএলের ইতিহাসে এর আগে ২২৪ রান তাড়া করে জেতার নজির ছিল। একই স্কোর তাড়া করে জিতল রাজস্থান রয়্যালস। ইডেন গার্ডেন্সে অবিশ্বাস্য একটা ইনিংস জস বাটলারের। বোর্ডে রান। শুরু থেকে অনবদ্য বোলিং। কেকেআর আরও একটা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। সেই স্বপ্ন উসকে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ইনিংসের ১৩ তম ওভারে পরপর দু-বলে দু-উইকেট। ১২১ রানে ৬ উইকেট। এরপর ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই থাকার কথা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি টিমের ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল ক্রিজে যোগ দেন বাটলারের সঙ্গে। প্রচণ্ড গরমে টান ধরেছিল সুনীল নারিনের। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে ফেরেন। ইডেনে এ মরসুমে নারিনের বিরুদ্ধে কেউ বাউন্ডারি মারতে পারছিলেন না। সেটাই করে দেখান পাওয়েল। শেষ অবধি নারিনের বলেই আউট হন। কেকেআর শিবিরকে তবু চাপে রাখেন জস বাটলার। আশঙ্কাই সত্যি হয়। অবিশ্বাস্য ইনিংসে শেষ বলে রাজস্থানকে জেতান জস বাটলার।

ম্যাচ শেষে কাঁধ ঝুঁকে গিয়েছে নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের। প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত। সঙ্গে এত বড় স্কোর গড়েও হারের ক্লান্তি। শ্রেয়স বলছেন, ‘এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আবেগ ধরে রাখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে পড়ব ভাবিনি। ক্রিকেট যে কতটা অনিশ্চয়তার খেলা, আরও একবার বোঝা গেল।’ রোভম্যান পাওয়েল আউট হওয়ার পর কি নাইট শিবিরে বিশ্বাস ছিল জেতা সম্ভব?

শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘হঠাৎ সব কী হল বুঝে উঠতে পারছি না। এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আপাতত বলতে পারি, আমরা ভালো বোলিং করেছি। ছোট্ট কিছু ভুলে এই পরিণতি হল।’ সেই ছোট্ট ভুলটা কি ফিল সল্টের ফিল্ডিং মিস বলা যায়? ওয়াইড বল, মিস ফিল্ডে পাঁচ রান এবং অতিরিক্ত একটি ডেলিভারি খেলার সুযোগ পায় রাজস্থান। হতে পারে, সেটাই সেই ছোট্ট ভুল!

Leave a Reply