কয়েক সপ্তাহ আগেও তিনি ছিলেন মাইক হাতে। ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। এই ভূমিকাতেও ধারাবাহিক ভাবে নজর কাড়ছেন দীনেশ কার্তিক। আর এখন ব্যাট হাতেও একই রকম ধারাবাহিক। বয়স যে শুধুই সংখ্যামাত্র কার্তিকও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সোমবার আইপিএলের রেকর্ড রান তাড়া করতে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক এবং আইপিএলে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড গড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
রেকর্ড ২৮৮ রান তাড়া করেও মাত্র ২৫ রানে হার আরসিবির। দীনেশ কার্তিক ক্রিজে থাকা অবধি জয়ের স্বপ্ন দেখছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের লয়্যাল সমর্থকরা। ১৯তম ওভারে কার্তিক ফিরতেই যাবতীয় আশা শেষ। এটিই দীনেশ কার্তিকের শেষ আইপিএল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কিন্তু সরকারি ভাবে বিদায় জানাননি। তবে তাঁর নামের পাশে অলিখিত ভাবে প্রাক্তন বসে গিয়েছে। আইপিএলে দীনেশ কার্তিকের ফর্ম দেখে দাবি উঠেছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলানো হোক এই ফিনিশারকে।
দীনেশ কার্তিক যেন ময়দানের সুব্রত ভট্টাচার্য। বাবলু দা নামেই যিনি বেশি জনপ্রিয়। কিংবদন্তি ফুটবলার রজার মিল্লার কথা মনে পড়ে? মোহনবাগানের সঙ্গে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিলেন। সুব্রত ভট্টাচার্য কেরিয়ারের সায়াহ্নে। মোহনবাগান টিমের কোন ফুটবলার তাঁকে মুগ্ধ করেছেন? এই প্রশ্নে কিংবদন্তি রজার মিল্লা বলেছিলেন, ‘জার্সি নম্বর ১৬ (সুব্রত ভট্টাচার্য)। ওই প্লেয়ারের মধ্যে অনেক দূর এগনোর দক্ষতা রয়েছে।’ কেরিয়ারের সায়াহ্নে এক কিংবদন্তির থেকে এমন মন্তব্য প্রমাণ করে দেয়, সুব্রত ভট্টাচার্য কতটা দক্ষ ছিলেন।
আরসিবির কিপার ব্যাটার দীনেশ কার্তিকের ক্ষেত্রেও যেন বিষয়টা এমনই। বয়স ৩৮। আরও যেন ক্ষুরধার হয়ে উঠেছেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩৫ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস তার অন্য়তম প্রমাণ। শটের বৈচিত্রও নজরকাড়া। জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিনিশার হিসেবে দীনেশ কার্তিককেই খেলানোর দাবি উঠছেন। নির্বাচকরা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন বলে মনে হয় না। তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা দীনেশ কার্তিককে নিজেদের বিশ্বকাপ দলে যেন বেছেই নিয়েছেন।