গুজরাট টাইটান্সের সর্বনিম্ন স্কোর। ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মাত্র ৮৯ রানেই শেষ টাইটান্স ইনিংস। রশিদ খান ৩১ রান না করলে! নিঃসন্দেহে লজ্জা বাড়ত। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে এর আগের ম্যাচে শেষ বলে জিতেছিল গুজরাট টাইটান্স। টেবল টপার রাজস্থানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন রশিদ খানই। ঘরের মাঠে টিমের ব্যাটিংয়ের এমন হাল হবে তা হয়তো প্রত্যাশা করেননি টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল।
দিল্লি ক্যাপিটালসের টার্গেট মাত্র ৯০ রানের। তাদের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল, যেন ভিন্ন পিচে খেলা হচ্ছে। অথচ টাইটান্সের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হয়েছে, পুরোপুরি বোলিং সহায়ক পিচ। পেসাররা যেমন সাহায্য পাচ্ছিলেন, তেমনই স্পিনাররাও। দিল্লি ক্যাপিটালসের পার্টটাইম স্পিনার ত্রিস্তান স্টাবস নেন ২ উইকেট। টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল চূড়ান্ত হতাশ হলেও এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন।
৮.৫ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় দিল্লি ক্যাপিটালস। পিচের অজুহাত দিতে নারাজ গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক শুভমন গিল। শট সিলেকশনকেই দায়ী করেছেন। শুভমন বলেন, ‘আমাদের গড়পড়তা ব্যাটিং হয়েছে। তবে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পিচের অজুহাত দেওয়ার জায়গা নেই। আমাদের আউটগুলোই তার প্রমাণ। আমি, সাহা, সাই যে ভাবে আউট হয়েছি, তাতে পিচের কিছু অবদান ছিল না।’
বোর্ডে ৮৯ রানের পুঁজি নিয়ে কোনও আশা ছিল? শুভমন বলছেন, ‘প্রতিপক্ষ যখন ৮৯ রান (৯০) তাড়া করছে সে সময় আশা না রাখাই শ্রেয়। হ্যাঁ, কোনও বোলার ডাবল হ্যাটট্রিক নিলে আলাদা বিষয়। মরসুমের মাঝপথে রয়েছি। আমরা তিনটি ম্যাচ জিতেছি। আশা করি, এখান থেকে আরও ৫-৬টা ম্যাচ জেতা সম্ভব।’