মরসুমের প্রথম হোম ম্যাচ নয়, তবে প্রথম হোম ম্যাচও। বড্ড গোলমেলে বোঝাচ্ছে কি? দিল্লি ক্যাপিটালস এ বার প্রথম দুটি হোম ম্যাচ খেলেছে বিশাখাপত্তনমে। অবশেষে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। হোম ম্যাচের যে অনুভূতি সেটাই পেয়েছিলেন ঋষভ পন্থরা। তবে ঘরে ফেরা হার দিয়ে হবে, এই প্রত্যাশা হয়তো করেননি। বিশেষ করে টানা দুটি ম্যাচ জেতার পর আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকাই স্বাভাবিক। সেটাই ছিল। সানরাইজার্সের ব্যাটিংয়ের সামনে সব আত্মবিশ্বাস যেন হারিয়ে গিয়েছিল।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এ বারের আইপিএলে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখিয়েছে সানরাইজার্সই। তাদের প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দেওয়া! ঋষভ পন্থ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তার আগের ম্যাচেই গুজরাট টাইটান্সে অনবদ্য পারফর্ম করেছে দিল্লির বোলিং বিভাগ। ঋষভ পন্থের ক্যাপ্টেন্সি এবং কিপিং আলাদা মাত্রা যোগ করেছিল। এই আত্মবিশ্বাস থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হারের পর প্রশ্ন উঠছে, রান তাড়ার সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল?
ঘরের মাঠে হারে ভেঙে পড়েছেন ঋষভ পন্থ। সদাহাস্য ঋষভকে এমন মাথা নীচু অবস্থায় দেখে মন খারাপ কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরেরও। পোস্ট ম্যাচের সময় গাভাসকর তাঁকে বলেন, ‘ঋষভ, তোমাকে এ ভাবে দেখতে ভালো লাগছে না। মাথা উচু করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভাবো।’ ঋষভও জবাব দেন, ‘অবশ্যই স্যার, পরের ম্যাচে আরও ভালো হোমওয়ার্ক করে নামব। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
রান তাড়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না বলেই মনে করেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক। তাঁর একটা প্রত্যাশা ছিল। টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ঋষভ বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, পরের দিকে শিশিরের ব্য়াপক প্রভাব পড়বে। সেটারই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু শিশিরের কোনও প্রভাবই দেখা যায়নি।’ দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘বোর্ডে ২২০-২৩০ রানের টার্গেট থাকলে আমরা তাড়া করতে পারব, এই ভরসা ছিল।’
অপেক্ষাই সার। ঋষভ আরও জানালেন, পরের দিকে বল থমকে আসছিল। আর কোনও টিমের পুঁজি ২৬০-২৭০ থাকা মানে বোলারদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সেটাই করেছে।