পঞ্জাব কিংসের হোম ম্যাচ। ঘরের মাঠে তাদের পরিস্থিতি সঙ্গীন। মুল্লানপুরে মুখোমুখি হয়েছিল পঞ্জাব কিংস ও গুজরাট টাইটান্স। দু-দলের পরিস্থিতিই কার্যত এক ছিল। টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। সেই পরিস্থিতি কাটল না। টানা হারের ধাক্কা পঞ্জাব কিংসের। প্লে-অফের দৌড় থেকে ক্রমশ সরে যাচ্ছে তারা। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ব্যাটিং ব্যর্থতার পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ৫ বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে জয় টাইটান্সের। তবে শেষ দিকে মরন কামড়ের মরিয়া চেষ্টা করেছিল পঞ্জাব কিংস।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্যাম কারান। চোটের কারণে এই ম্যাচেও পাওয়া যায়নি নিয়মিত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে। স্ট্যান্ড ইন ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্ত শুরুতে সঠিকই মনে হয়েছিল। স্যাম কারান এবং প্রভসিমরন সিংয়ের ওপেনিং জুটিতে ৫২ রান যোগ করে পঞ্জাব কিংস। যদিও দুই ওপেনার ফিরতেই পঞ্জাবের ভাঙন শুরু। ৫২-০ থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ৯৯-৭ হয়ে যায় পঞ্জাব।
লড়াই করার মতো স্কোর প্রয়োজন ছিল। শেষ অবধি গুজরাট টাইটান্সকে ১৪৩ রানের টার্গেট দেয় পঞ্জাব। ২০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি তারা। শেষ দিকে হরপ্রীত ব্রার ১২ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলতে না পারলে এই অবধিও পৌঁছতে পারতো না পঞ্জাব কিংস। টাইটান্সের হয়ে ৪ উইকেট বাঁ হাতি স্পিনার সাই কিশোরের। দুই আফগান রিস্ট স্পিনার রশিদ খান ও নুর আহমেদও ভালো বোলিং করেন।
রান তাড়ায় প্রতি মুহূর্তেই যেন চমক। এই রান তুলতে গুজরাট টাইটান্সের পরিস্থিতি সঙ্গীন হবে তা অবশ্য ভাবা যায়নি। অধিনায়ক শুভমন গিল ২৯ বলে ৩৫ রান করেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা সাই সুদর্শনও ৩১ রানের অবদান রাখেন। তবে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে পরিস্থিতি কঠিন করে টাইটান্স। পার্টটাইম স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
রাহুল তেওয়াটিয়া ১৮ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসে দলকে জয়ের সীমানা পার করান। শেষ ওভারে ১ রান প্রয়োজন ছিল টাইটান্সের। অর্শদীপ সিংই হোক বা অন্য কোনও বোলার, নিয়মরক্ষাই বাকি ছিল।