ভয়ঙ্কর বোলিং আক্রমণের সামনে নড়বড়ে শুভমনদের পরীক্ষা


দিল্লির বোলিং আক্রমণ ভয়ঙ্কর। সেই অনুযায়ী রেজাল্ট না মিললেও এ কথা মেনে নিতে দ্বিধা নেই। ঋষভ পন্থদের বোলিং আক্রমণ সত্যিই ভয়ঙ্কর। গত ম্যাচের কথাই ধরা যাক। বিধ্বংসী সানরাইজার্সের কাছে হেরেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। ট্রাভিস হেডের সৌজন্যে শুরুটা যে ভাবে হয়েছিল, মনে হয়েছিল আইপিএলে প্রথম বার কোনও টিম ৩০০ পার করবে। সেটা কিন্তু হতে দেয়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। আজ ঘরের মাঠে তাদের সামনে নড়বড়ে টাইটান্স ব্যাটিং।

ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে চূড়ান্ত লজ্জায় পড়েছিল গুজরাট টাইটান্স। তাদের ব্যাটিং আক্রমণে সর্বাধিক রান ছিল রশিদ খানের। মাত্র ৮৯ রানেই অলআউট হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। আইপিএলে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। দিল্লির পার্টটাইম স্পিনার ত্রিস্তান স্টাবস মাত্র ১ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। তাতেই জোড়া উইকেট। ৬৭ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস।

সেই হার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গুজরাট টাইটান্স। শুভমন গিলরা গত ম্যাচে পঞ্জাবকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়েছে। যদিও বিশাল টার্গেট না থাকলেও ম্যাচে নার্ভাস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শেষ দিকে রাহুল তেওয়াটিয়ার ইনিংস টাইটান্সকে জয়ের স্বাদ দেয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের ক্ষেত্রে গত ম্যাচটা অন্যরকম কেটেছে। এ মরসুমে দিল্লি তাদের প্রথম দুটি হোম ম্যাচ খেলেছিল বিশাখাপত্তনমে। দিল্লিতে গত ম্যাচটিই ছিল ঋষভদের ঘরে ফেরা।

সানরাইজার্সের কাছে হারলেও গত ম্যাচে নানা ইতিবাচক দিকও রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস শিবির। তাদের বোলিংয়ে কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার রয়েছেন। ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন কুলদীপ। তেমনই ব্যাটিংয়ে আলাদা করে বলতে হয় এ বারই প্রথম আইপিএলে সুযোগ পাওয়া জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকের কথা। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। জ্যাক ও অভিষেক পোড়েল জুটি মাঠে থাকা অবধি মনে হয়েছিল অবিশ্বাস্য রান তাড়ায় জিততেও পারে দিল্লি। আজ ঘরের মাঠে শুভমনদের বিরুদ্ধে প্রথম লেগের পুনরাবৃত্তিতেই নজর ঋষভ পন্থদের।

Leave a Reply