জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিরাট কোহলিকে নিয়ে নানা জল্পনা। এ বার সুনীল গাভাসকরের মন্তব্য আরও অস্বস্তিতে ফেলতে বাধ্য বিরাট কোহলিকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দীর্ঘ এক মাসের ব্যবধানে জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিধ্বংসী সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়েছে আরসিবি। বিরাট কোহলি হাফসেঞ্চুরি করলেও তাঁর স্ট্রাইকরেট বড় চিন্তার বিষয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গত কয়েক বছর একটা বিষয় দেখা গিয়েছে, বিরাট শুরু থেকে ইনিংস অ্যাঙ্কর করেন। পরবর্তীতে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। কিন্তু গত দু-তিন বছর স্পিনারদের বিরুদ্ধে তাঁর স্ট্রাইকরেট অস্বস্তির। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করেছে আরসিবি। ফাফ ডুপ্লেসি এবং বিরাট কোহলি জুটি শুরুটা দুর্দান্ত করে। অল্প সময়ের ব্যবধানে ফাফ ডুপ্লেসি, উইল জ্যাকসের উইকেট হারায় আরসিবি। তবে রজত পাতিদার অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি। তারপরও বিরাট কেন মন্থর হয়ে গেলেন!
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বিরাট প্রথম ১৮ বলে করেছিলেন ৩২ রান। পরবর্তী ২৫ বলে মাত্র ১৯ রান। শুধু সিঙ্গল নিতে দেখে বিরক্ত গাভাসকর। হাফসেঞ্চুরির পর বিরাট গতি বাড়ানোর চেষ্টায় বল কানেক্টই করতে পারছিলেন না। দ্রুতই আউট হন। দীর্ঘসময় শট না খেলায় ছন্দ হারিয়েছেন, এমনটাই মন্তব্য করেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর। ধারাভাষ্যেই বলেন, ‘বিরাট শুধুই সিঙ্গল নিয়ে যাচ্ছে। এখনও দীনেশ কার্তিক, মহীপালের নামা বাকি। এখন ঝুঁকি না নিলে আর কখন! পাতিদারকে দেখুন, ও ওভারে তিনটি ছয় মারার পর চাইলে সিঙ্গল নিতেই পারত। তা না করে বড় শটেরই চেষ্টা করেছেন। সুযোগ পেলে এটাই করতে হবে।’
বিরাটের শট কানেক্ট না হওয়ায় বলেন, ‘কোহলি শট খেলার চেষ্টায় মিস করেছেন। কেউ যদি খোলসে ঢুকে থাকে, সিঙ্গলস নিতে থাকে, হঠাৎ শট খেলা সহজ নয়। কোহলিকে আরও আগেই শট খেলার চেষ্টা করতে হত।’