কলকাতা: চুমু কাণ্ডে আবার উঠে এল তাঁর নাম। আইপিএলে যত সাফল্য পাচ্ছেন, ততই যেন চুমু দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটালেন। তার ফলও ভুগতে হল। চুমু বিতর্কের কারণে কেকেআরের পেস বোলার হর্ষিত রানার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল বিসিসিআই। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৬টা জিতে লিগ টেবলের দুইয়ে কেকেআর। গৌতম গম্ভীরের দল প্লে-অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেশ চাপে পড়ে গেল কেকেআর। কেকেআরের তরুণ পেসারকে কী শাস্তি দিল বোর্ড?
এর আগেও চুমু বিতর্কে পড়েছেন হর্ষিত। সানরাইডার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই চুমু-কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন ইডেনে। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে আউট করে ফ্লাইং কিস দিয়েছিলেন। তার শাস্তিও ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে। এক ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছিলেন। জরিমানা হয়েছিল ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি। তাতেও শিক্ষা হয়নি। সোমবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে আবার একই ঘটনা ঘটিয়েছেন হর্ষিত। অভিষেক পোড়েলকে আউট করার পর তাঁকে ফ্লাইং কিস দিয়েছেন।
একই ঘটনা কেন বারবার ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টে কড়া ধাতের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও মেন্টর গম্ভীর থাকা সত্ত্বেও কেন সতর্ক করা হয়নি হর্ষিতকে? সোমবারের ওই ঘটনার পর একটা ম্যাচে নির্বাসিত করা হয়েছে হর্ষিতকে। ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা গিয়েছে। যার অর্থ হল, ৩ মে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না হর্ষিত।
এতেই শেষ নয়, সোমবার আরও একটি কারণে সতর্ক করা হয়েছে হর্ষিতকে। ম্যাচের আগে যে প্র্যাক্টিস পিচে বোলিং করছিলেন হর্ষিত, তা দিল্লির জন্য বরাদ্দ ছিল। সেখানে তাঁকে ট্রেনিং করতে বারণ করা হয়। সিএবির পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় তাঁকে বারণ করেন। তার পরই মাঠ ছাড়েন। বিপক্ষের ট্রেনিং পিচে হোম টিমকে সাধারণত প্র্যাক্টিস করতে দেখা যায় না। হর্ষিতকে বারণ করার পর তিনি সরে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু কেকেআর পেসারের সৌজন্য কেন থাকবে না, তা নিয়েও কথা উঠে গিয়েছে।