আসল ক্রিকেট, নকল ক্রিকেট! অনেকের মধ্যেই এই বিতর্ক চলে। আসল ক্রিকেট হল টেস্ট। যেখানে প্রতিটি বল, মুহূর্ত, সেশনে ম্যাচের রং বদলে যেতে পারে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে একটা সময় কোনও টিম ২৭০ রান করা মানে ধরেই নেওয়া হত, তাদের জয় শুধু অপেক্ষা। এখন দু-দিক থেকে নতুন বল ব্যবহার হয়। ওয়ান ডে ম্যাচে রিভার্স সুইংয়ের দেখা মেলে না। এখন কেউ ৩৫০ স্কোর করলেও সুরক্ষিত নয়। আর টি-টোয়েন্টি! কতটা স্কোর সুরক্ষিত, এ যেন বিরাট প্রশ্ন।
এ বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আরও নানা প্রশ্ন তুলছে। একঝাঁক ম্যাচে ২৫০ প্লাস স্কোর হয়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোর ২৮৭ রান হয়েছে এ বারের আইপিএলেই। ২০০ প্লাস স্কোর যেন কোনও ব্য়াপারই নয়। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মে প্রতিটি দলই প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যাটার এবং বোলার খেলানোর সুযোগ পাচ্ছে। যদিও ব্যাটিংয়েই লাভ বেশি হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে ক্রিকেট একপেশে হয়ে যাবে, এমনটাই আশঙ্কা বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের।
রাজস্থান রয়্যালসের এই অফস্পিনার এক ইভেন্টে বলেন, ‘স্টেডিয়ামের সাইজ এখন আলোচ্য বিষয় নয়। স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে অনেক আগে। আধুনিক ক্রিকেটে সেটার সাইজ নিয়ে আলোচনা গুরুত্বহীন। তখন যে ধরনের ব্যাট ব্যবহার হত…। আর এখন LED বিজ্ঞাপনী বোর্ড ব্যবহারের জন্য মাঠের সাইজ এমনিতেই ১০ গজের মতো কমে গিয়েছে। ক্রিকেট যেন ব্যাটারদের দিকেই ঝুঁকে গিয়েছে। বোলারদের কাছে দুঃস্বপ্ন। তাদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য ভাবার প্রয়োজন পড়বে।’
ক্রিকেট ভারসাম্য হারালেও দক্ষ বোলাররা এর মধ্যেও ছাপ ফেলবেন বলে মনে করেন রবি অশ্বিন। তাঁর কথায়, ‘খেলা ভারসাম্য হারালে, তার উপায় নিজেদেরই খুঁজে নিতে হবে।’ এ বিষয়ে নিজের টিমের উদাহরণই তুলে ধরেছেন অশ্বিন। বলছেন, ‘আইপিএলে প্রতিটি ম্যাচে রান দেওয়ার কথা যদি বলি, আমাদের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু কম। আমরা ১৮০ রানের পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জিতেছি।’