টানা পাঁচটি জয়, CSK-কে ১৮ রানে হারালেই প্লে-অফ! অঙ্ক কী?


ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বারের মরসুমে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা। অন্যান্য বার এ সময় প্লে-অফের চিত্র অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায়। এ বার যা কোনও ভাবেই হচ্ছে না। টুর্নামেন্টের এই সংস্করণে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ধরে মোট ৬২টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। সরসারি ভাবে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে মাত্র একটি দলের। প্রথম দল হিসেবে এ বার প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

প্লে-অফে বাকি এখনও তিনটি স্পট। দৌড়ে ছ’টি দল। সরকারি ভাবে না হলেও বলা যায়, প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রাজস্থান রয়্যালস। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারলেও পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে রাজস্থান। লিগ পর্বে এখনও তাদের দুটি ম্যাচ বাকি। টুর্নামেন্টে টানা আধডজন ম্যাচ হেরে একটা সময় সব অঙ্কের বাইরে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে টানা পাঁচটি জয়ে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। আরসিবির কাছে প্লে-অফের দরজা এখনও খোলা। আর সেটার ভাগ্য নির্ভর করছে ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে।

পয়েন্ট টেবলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নেট রান রেটে চেন্নাইয়ের থেকে কিছুটা পিছিয়ে বিরাট কোহলিরা। চেন্নাইয়ের নেট রান রেট ছাপিয়ে যেতে ঘরের মাঠে অন্তত ১৮ রানে জিততে হবে (২০০ রান করলে) আরসিবিকে। যা কোনও ভাবেই অসম্ভব নয়। শুরুর থেকে আরসিবি ব্যাটিং ভরসা দিয়ে এসেছে। এ বার ছন্দে তাদের বোলিং আক্রমণও। বিশেষ করে বলতে হয় মহম্মদ সিরাজের কামব্যাকের কথা।

চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের আগে আরও অনেক অঙ্কে নজর রাখতে হবে আরসিবিকে। ধোনিদের বিরুদ্ধে নামার আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ফলের দিকে নজর রাখতে হবে। লখনউয়ের এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। লখনউ এই দু-ম্যাচের মধ্যে একটি জিতলেও নেট রান রেটে অনেকটাই পিছিয়ে। তাদের কাছে দুটি ম্যাচ জিতে আরসিবিকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও। একটি গুজরাট টাইটান্স ও অন্যটি পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। প্লে-অফের দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছে পঞ্জাব কিংস। টাইটান্সের আজ ম্যাচ রয়েছে টেবল টপার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। সানরাইজার্স দুটি ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছবে এবং সেক্ষেত্রে আরসিবির চাপও বাড়বে। আরসিবির নজরে এখন মূলত লখনউ ও হায়দরাবাদের রেজাল্টের দিকে। তারা যাতে অন্তত একটি করে ম্যাচ হারে সেই প্রার্থনায় আরসিবি সমর্থকরা।

Leave a Reply