লোকেশ রাহুলের ‘কুল’ ক্যাপ্টেন্সি, অভিষেক-স্টাবস ঝড়ে দিল্লি ২০৮


জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক। এ মরসুমে দিল্লি ক্যাপিটালস ব্যাটিংয়ে নতুন আবিষ্কার। তাঁকে নিয়ে প্রচুর হইচই হয়েছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। টানা দু-ম্যাচে হতাশার পারফরম্যান্স। গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে রান আউটে ফিরতে হয়েছিল। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট ম্যাকগুরুক। আর এক তরুণ ব্যাটার অভিষেক পোড়েল অবশ্য ঝড় তুললেন। প্লে-অফের অঙ্কে টিকে থাকতে ঋষভ পন্থদের ২০৮ রান নিয়েই লড়াই করতে হবে।

প্লে-অফের অঙ্ক খুবই কঠিন দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্রথমত লখনউ সুপার জায়ান্টসকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। এরপরও অপেক্ষা করে থাকতে হবে বাকি ম্যাচের ফলের জন্য। লিগ পর্বে দিল্লির এটিই শেষ ম্যাচ। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে সুযোগ রয়েছে দুটি। আজকের ম্যাচ জিতলে প্লে-অফের পথ কিছুটা হলেও মসৃণ হবে। সানরাইজার্স ওপেনারদের কাছে নাস্তানুবুদ হতে হয়েছিল লখনউ বোলিং আক্রমণকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াল তারা।

টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তাঁর ঠান্ডা মাথার ক্যাপ্টেন্সি ভরসা দিল টিমকে। বোলিং পরিবর্তন থেকে ফিল্ড প্লেসমেন্ট, সব দিকেই নজরকাড়া। নিজে দুর্দান্ত একটা ক্যাচও নিয়েছেন। দিল্লি হাইস্কোরিং ভেনু। বোলারদের কাছে কঠিন পরীক্ষা। শুরুতেই ম্যাকগুরুককে ফিরিয়ে দিল্লিকে চাপে ফেলেছিল লখনউ। অভিষেক পোড়েল ৩৩ বলে ৫৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।

হোপ ও অভিষেক ফিরতেই মন্থর হয় দিল্লি ইনিংস। ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থও গিয়ার শিফ্ট করতে পারেননি। ২৩ বলে ৩৩ রানেই ফেরেন। তবে স্লগ ওভারে খেল দেখান তরুণ ব্যাটার ত্রিস্তান স্টাবস। ভালো ডেলিভারিও গ্যালারিতে ফেলছিলেন তরুণ প্রোটিয়া ব্যাটার। ২২ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন। শেষ অবধি তাঁর ইনিংসে রানে ভর করেই ২০০ পেরোয় দিল্লি।

Leave a Reply