প্লে-অফের দৌড়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে মরণ বাঁচন ম্যাচ। শুধু জিতলেই হবে না, অঙ্কও মেলাতে হবে। টস জিতে বিরাটদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান সিএসকে অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের কাছে নানা অঙ্কও রয়েছে। প্রথমে ব্য়াট করা মানে ১৮ রানের ব্যবধানে জিততে হবে। বিরাট কোহলি এবং ফাফ ডুপ্লেসি প্রত্যাশা অনুযায়ী বিধ্বংসী শুরু করেন। আরসিবি ইনিংসের ৩ ওভার শেষেই ম্যাচ থামাতে হয়।
আধঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকে ম্যাচ। বৃষ্টির পরই ব্যাটিংয়ে সমস্যায় পড়েন বিরাট-ডুপ্লেসি। স্পিনার মহেশ থিকসানা ও মিচেল স্যান্টনারকে খেলতে খুবই সমস্যা হচ্ছিল। বল থমকে আসছিল। প্রথম ৩ ওভারে ৩১ রান তুলেছিল আরসিবি। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৪২! বিরাট কোহলি অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন। ফাফ ডুপ্লেসি হাফসেঞ্চুরি ফেরেন। আরসিবি শিবির চিন্তায় ছিল।
এ মরসুমে কয়েক ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন রজত পাতিদার। ডু-অর ডাই ম্যাচে জ্বলে উঠলেন রজত। ক্যামেরন গ্রিনের সঙ্গে দুর্দান্ত একটা জুটি গড়েন। ১৬ ওভারে আরসিবির স্কোর ছিল ১৫৫-২। শেষ চার ওভারে গিয়ার শিফ্ট করতেই হত রজত পাতিদার ও ক্যামেরন গ্রিনকে। সেটাই করেন দু-জনে। রজত ফেরেন ২৩ বলে ৪১ রানে। ম্যাক্সির আগে নামানো হয় দীনেশ কার্তিককে। ৬ বলে ১৪ রানে ফেরেন দীনেশ। গ্রিন ও ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে। ফিনিশিং দুর্দান্ত। ম্যাক্সি ৫ বলে ১৬ রানে ফেরেন।
শেষ চার ওভারে ৬৩ রান তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ ওভারে ২১৮ রান করে আরসিবি। চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৮ রানে হারাতে হবে। অর্থাৎ চিত্রটা পরিষ্কার। চেন্নাইকে ২০০-র মধ্যে আটকে জিততে পারলেই প্লে-অফে আরসিবি। আর চেন্নাই যদি ২০১ রান করেও হারে, তাতেও প্লে-অফে জায়গা করে নেবে। অনিশ্চয়তার খেলায় কিছুই নিশ্চিত করা যায় না।