এক শতাংশ সুযোগ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবিরেই শুধু নয়, বিরাট কোহলির এই মন্তব্য এখন অনেকের কাছেই প্রেরণা। ট্রেন্ডিং টপিকও বলা যায়। আইপিএলের এ মরসুমে এমনটাই করে দেখিয়েছে আরসিবি। প্রথম আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জয়। সেখান থেকে প্লে-অফ! স্বপ্ন দেখতেও সাহস প্রয়োজন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স সেই দুঃসাহসটাই দেখিয়েছে। টানা আধডজন জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানোর দ্বিতীয় সুযোগ নেই। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আজ এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
রয়্যাল লড়াইয়ে দু-দল দু-রকম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এসেছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু টানা হারে ক্লান্ত ছিল। প্লে-অফের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছিল তাদের। অন্যদিকে, রাজস্থান রয়্যালস। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রথম দল হিসেবে তারাই প্লে-অফ নিশ্চিত করত। প্রথম দুইয়ে থাকাও যেন নিশ্চিত ছিল। কিন্তু টানা চার ম্যাচে হার এবং বৃষ্টিতে লিগের শেষ ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় তিনে নেমে গিয়েছে। যার ফলে একটাই সুযোগ। আরসিবি মে মাসে একটিও ম্যাচ হারেনি, আর রাজস্থান একটিও জেতেনি।
রাজস্থান রয়্যালসে অস্বস্তি ছিলই। লিগ পর্বের দু-ম্যাচ বাকি থাকতে জস বাটলার দেশে ফিরেছিলেন। এরপর আরও চাপে পড়ে রাজস্থান। তাদের দ্বিতীয় হোম গ্রাউন্ড গুয়াহাটিতে পঞ্জাব কিংসের কাছে হারে রয়্যালস। বাটলারের পরিবর্তে ওপেন করা টম কোহলার ক্যাডমোর ছাপ ফেলতে ব্যর্থ। আর এক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এ মরসুমে একটি সেঞ্চুরি করলেও ব্যাট হাতে ধারাবাহিক নন। সঞ্জু স্যামসন, রিয়ান পরাগ রান না পেলে, লোয়ার অর্ডারও ভরসা দিতে পারছেন না। তাদের বোলিং শক্তিশালী এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স শিবিরে এখন ফিলগুড পরিবেশ। শেষ আধডজন ম্যাচ তারা ডু-অর ডাই হিসেবেই খেলেছে। পরিস্থিতি তেমনই ছিল। সাফল্যও এসেছে। আজ আরও একটা ডু-অর ডাই ম্যাচ। এক পারসেন্টের ম্যাচ। জিতলে চেন্নাইয়ে পাড়ি দেবে আরসিবি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার সেখানেই। হারলে এ বারের মতো আইপিএল অভিযান শেষ। বিরাট কোহলি এবং আরসিবি বোলিং যে ফর্মে রয়েছে, তাতে চেন্নাইয়ের প্রত্যাশা সমর্থকদের।