ভিডিয়ো: বিরাটের আলিঙ্গন, গার্ড অব অনার; চোখের জলে দীনেশ কার্তিকের সফর শেষ


টুর্নামেন্টের আগে, মাঝে বেশ কয়েক বার বলেছেন। হয়তো এটাই তাঁর শেষ আইপিএল। বরাবরই যেন ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থেকে গিয়েছেন। এ বারও তাই। টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে-অফে উঠেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এলিমিনেটরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হার। এ বারের মতো আইপিএল সফর শেষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। হয়তো ক্রিকেট কেরিয়ারে ইতি দীনেশ কার্তিকেরও। এ মরসুমে মুগ্ধকর কয়েকটা পারফরম্যান্স থাকলেও ট্রফির স্বাদ মিলল না। বিরাটের আলিঙ্গন, টিমের গার্ড অব অনার, যেন মনে করিয়ে দিল, দীনেশ কার্তিক একটা সফর শেষ করলেন। তারপরও হয়তো লিখতে হবে! সরকারি ভাবে তিনি এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি।

কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, পাশে কেমন মানুষ চান, ক্রিকেট প্রেমী হলে তিনি বলতেই পারেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মতো লয়্যাল সমর্থন করে যাবে, এমন মানুষ। প্রতিটা মরসুম আসে প্রত্যাশার সঙ্গে। দল গঠন হয়, একঝাঁক তারকা থাকে। নানা চড়াই উতরাই দেখা যায়। শিখরে পৌঁছনো হয় না। গত ১৬টি সংস্করণের মতো, এ বারের গল্পটাও তাই। প্রথম আট ম্যাচে মাত্র একটি জয়। কেউ ভাবেনি আরসিবি প্লে-অফ অবধি পৌঁছতে পারে। তবে বিরাটের সেই মন্তব্য, ‘অনেক সময়, ১ শতাংশ সুযোগই যথেষ্ঠ।’ সেই মন্ত্রেই যেন টানা আধডজন ম্যাচ জিতে প্লে-অফ। এর পরের সফরটা আর পেরনো হল না।

জার্সি নম্বর ১৮-র আইপিএল ট্রফির অপেক্ষা বাড়ল। আইপিএলের জন্মলগ্ন থেকে আরসিবিতেই খেলছেন বিরাট কোহলি। একবারও ট্রফির স্বাদ পাননি। প্লেয়ার, ক্যাপ্টেন দুই ভূমিকাতেই নজর কেড়েছেন। কাপ আর ঠোঁটের দূরত্ব মেটেনি। ১৮ নম্বর জার্সির অপেক্ষা এ বার আইপিএলের ১৮তম সংস্করণের। দীনেশ কার্তিকের কাছে হয়তো স্বপ্নের মরসুম হয়ে থাকতে পারত। শুরু থেকে এমন কিছু ইনিংস খেলেছিলেন, যার ফলে তাঁকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেওয়ার দাবিও উঠেছিল।

বিশ্বকাপের দলে অবশ্য জায়গা মেলেনি। সেই আক্ষেপটা মিটতে পারত আইপিএলে। সেটাও হল না। চোখে জল ছিল কি? ক্যামেরা জুম করলে অনেক কিছুই ধরা পড়ে। বিরাট যে ভাবে তাঁকে সামলালেন, হয়তো চোখে জল ছিল। টিমকে লিড করে মাঠ ছাড়লেন। অভিব্যক্তিতে সমর্থকদের বিদায় বার্তা দিলেন। তাঁকে দ্রুতই মাঠে দেখা যাবে, অন্য ভূমিকায়, মাইক হাতে, কমেন্ট্রি বক্সে। সেটাও যেন মনে করিয়ে দিলেন। মাঠ ছাড়ছেন সাময়িক, মাঠকে ছাড়ছেন না।



Leave a Reply