আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে সরকারি ভাবে বিদায় জানাননি। বরাবর কামব্যাক ম্যান হিসেবে পরিচিত দীনেশ কার্তিকের এ বার আর সেই প্রত্য়াশা নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার আগে তাঁকে নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। আইপিএলে স্লগ ওভারে নিয়মিত ১৮০-র উপর স্ট্রাইকরেটে খেলেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই একটা দাবি উঠেছিল, ফিনিশারের ভূমিকায় দীনেশ কার্তিককে নেওয়ার জন্য। তা অবশ্য হয়নি। এলিমিনেটরে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারে আইপিএলেও বিদায় হয়ে গিয়েছে। টুর্নামেন্টের শুরুতেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন এটিই তাঁর শেষ আইপিএল। প্লে-অফে ছিটকে যাওয়ার পর আইপিএলকে বিদায় জানিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। তাঁকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন দীর্ঘদিনের সতীর্থ বিরাট কোহলি।
আমেদাবাদে এলিমিনেটর ম্যাচ শেষে চোখে জল নিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। তাঁকে গার্ড অব অনার দেয় আরসিবি। গ্যালারি থেকে ডিকে…ডিকে…ধ্বনি। বিরাটের আলিঙ্গনে আরও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন দীনেশ কার্তিক। আরসিবি ড্রেসিংরুমেও তাঁকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। সেখানে বার্তা দিয়েছেন বিরাট, দীনেশ কার্তিকের স্ত্রী তথা দেশের আর এক কৃতি ক্রীড়াবিদ দীপিকা পাল্লিকাল এবং অভিষেক নায়ার।
সতীর্থকে নিয়ে বিরাট কোহলির বার্তা, ‘প্রথম বার ওকে দেখি দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে গিয়ে। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। প্রথম বার ওর সঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছিলাম। ওকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। বরং বলা ভালো, দেখে মনে হয়েছিল, খুব কনফিউজ, প্রচণ্ড সক্রিয় একজন। সারাক্ষণ এদিক ওদিক করে বেরাচ্ছে। কোনও এক জায়গায় স্থির থাকার পাত্র নয়। প্রচণ্ড ছটফটে। দীনেশকে নিয়ে আমার প্রথম অভিজ্ঞতা এমনই। তবে এটুকু বলতে পারি, দুর্দান্ত প্রতিভা, অনবদ্য ব্যাটার। ওর ব্যাটিং উপভোগ করি। ওকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতার সঙ্গে বর্তমানে একটাই পার্থক্য, ও এখন অনেক শান্ত।’
DK, We love you! ❤
Not often do you find a cricketer who’s loved by everyone around him. DK is one, because he was smart, humble, honest, and gentle! Celebrating @DineshKarthik‘s career with stories from his best friends and family! 🤗#PlayBold #ನಮ್ಮRCB #WeLoveYouDK pic.twitter.com/fW3bLGMQER
— Royal Challengers Bengaluru (@RCBTweets) May 24, 2024
কার্তিকের স্ত্রী দীপিকা বলছেন, ‘কিছু জিনিস হওয়ারই থাকে। আর সেটা হয়েছিল ২০১৩ সালে। প্রথম দেখা বা পরিচয়েই মনে হয়েছিল, ওর সঙ্গে জীবন কাটানো যায়। ওর সঙ্গে সব কিছু ঠিক থাকবে, এমনটাই মনে হয়েছিল। জীবনটা নতুন করে শুরু করতে পেরেছিলাম। এটা আমরা খুব দ্রুতই বুঝেছিলাম।’