ওয়ান ডে বিশ্বকাপের হতাশা মিটবে! গ্রুপ সি-র হেভিওয়েটও চাপে


ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি। দুই ফরম্যাটেই দুটি করে বিশ্বকাপ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের হতাশা কাটানোই প্রাথমিক লক্ষ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ভারতের মাটিতে হয়েছিল গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। অবাক করা ঘটনা, ইতিহাসে প্রথম বার বিশ্বকাপে যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ ওভারের ফরম্যাটের সেই হতাশা কি কাটবে? আপাতত নজর সুপার এইট পর্বের যোগ্যতা অর্জন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ সি-তে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও তাদের লড়াইটা সহজ নয়। তাদের গ্রুপে রয়েছে- নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউ গিনি।

বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদেরই চাহিদা বেশি। এর অন্যতম কারণ পাওয়ার হিটিং। তবে টিম হিসেবে ধারাবাহিকতা দেখাতে ব্যর্থ তারা। এ বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও একঝাঁক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার খেলেছেন। তাদের অনেকেই রয়েছেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও। আইপিএলের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপে ধরে রাখাতেই নজর। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে নজর কেড়েছেন আন্দ্রে রাসেল, নিকোলাস পুরান এবং কিছুটা শেই হোপ।

বোলিং নিয়ে চিন্তায় থাকতেই পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আলজারি জোসেফ হাতে গোনা কয়েক ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। ভরসা দিতে পারেননি। তেমনই লোয়ার অর্ডার ব্যাটার শিমরন হেটমায়ারও ধারাবাহিক খেলার সুযোগ পাননি। ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এই গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাশাপাশি রয়েছে আর এক হেভিওয়েট টিম নিউজিল্যান্ড। ফর্মের দিক থেকে কিউয়ি প্লেয়াররা দুর্দান্ত জায়গায় রয়েছেন। বিশেষ করে বলতে হয় বোলিংয়ের কথা। আইপিএলে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছেন বাঁ হাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। লকি ফার্গুসনও ভরসা দিয়েছেন আরসিবিকে। সীমিত সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র, ড্যারেল মিচেল।

দুই হেভিওয়েট টিমের মাঝে চমক হতে পারে আফগানিস্তান। ভুললে চলবে না ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্সের কথা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। রশিদ খান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, আজমতুল্লা ওমরজাই, মহম্মদ নবি, নুর আহমেদ, নবীন উল হকরা আইপিএলে নিয়মিত খেলেছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতাও প্রচুর। শেষ দিকে, দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলেছিলেন গুলবদিন নায়েবও। এই টিমের প্রাণভ্রোমরা অবশ্যই রশিদ খান।

গ্রুপের আর একটি দলের কথা ভুললে চলবে না। উগান্ডা। এই প্রথম বার আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করবে, এই প্রত্যাশা করাই যায়।

Leave a Reply