চোকার্স তকমা। অনেক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা টিমের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে সেই তকমা ঘোচানোর মরিয়া চেষ্টায় নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেমিফাইনালেও উঠেছিল। বিশ্বকাপের মঞ্চে বরাবরই সেমিফাইনালে থেমে যাওয়ার হতাশার রেকর্ড রয়েছে প্রোটিয়াদের। ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও একই ঘটনা ঘটে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয়। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অনিশ্চয়তার গ্রুপও বলা যায়। গ্রুপ ডি-তে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
বিশ্বকাপের আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ যেন এক দিক থেকে অনেক দেশের কাছেই প্রস্তুতি ছিল। শ্রীলঙ্কার কথাই ধরা যাক। মাতিসা পাথিরানা, মহেশ থিকসানারা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন আইপিএলে। তবে অস্বস্তির কারণ, ওয়ার্ম আপ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। মূল টুর্নামেন্টে কী করে সেটাই দেখার। শ্রীলঙ্কার কাছে ইতিবাচক দিক হতে পারে, গত দু-তিন বছর তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। এশিয়া কাপে ফাইনালেও উঠেছিল।
গ্রুপের আর একটি দল বাংলাদেশ। কখন ভালো খেলবে বলা কঠিন। সদ্য আমেরিকার কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটে উন্নতশীল দেশের তকমা থেকে বেরোতে পারেনি তারা। বিশ্বকাপের আগে আমেরিকার কাছে হার আত্মবিশ্বাসেও আঘাত করেছে। গ্রুপে হেলাফেলার জায়গা নেই কোনও দলকেই। নেদারল্যান্ডসকে বিশেষ করে। ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স করেছিল কমলাশিবির। একঝাঁক দক্ষ খেলোয়াড় রয়েছে টিমে।
নেপাল প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলছে। গত দু-বছরে বেশ কিছু অভাবনীয় পারফর্ম করেছে নেপাল। বিশ্বকাপেও চমক দিতে পারে। বিশেষ করে বলতে হয় তাদের দীপেন্দ্র সিং আইরির কথা। বিশ্বকাপের অন্যতম চমক হতে পারেন দীপেন্দ্র। তবে এই গ্রুপ থেকে সুপার এইটের দৌড়ে প্রথম পছন্দ যে দক্ষিণ আফ্রিকা এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। আইপিএলের পারফরম্যান্সও তাদের বাড়তি ভরসা দেবে। বিশেষ করে বলতে হয় হেনরিখ ক্লাসেন, ত্রিস্তান স্টাবসের কথা। এ ছাড়া অভিজ্ঞ কুইন্টন ডিকক, এইডেন মার্কর্যাম, কাগিসো রাবাডা, ডেভিড মিলারদের কথা। টিম হিসেবে পারফর্ম করাই দক্ষিণ আফ্রিকার মূল চ্যালেঞ্জ।