১০ বছরে ষষ্ঠ হার বাইচুংয়ের! পাহাড়ি রাজ্য়ের ধস নামিয়ে জয় শাসক দলের


গত ১০ বছরে ভোটে ষষ্ঠ হার বাইচুংয়ের, ধরাশায়ী তাঁর দল এসডিএফ Image Credit source: TV9 Bangla

গ্যাংটক: ১০ বছরে ৬ বার! ফুটবল জীবনে ব্যর্থতার স্বাদ তিনি পাননি বললেই চলে। কিন্তু, ভোটের ময়দানে একটানা ব্যর্থ ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া। রবিবার (২ মে) আরও একবার নির্বাচনী রাজনীতিতে পরাজয়ের স্বাদ পেলেন তিনি। এদিন সিকিম বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে। বারফুং আসন থেকে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা এসডিএফ-এর হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন বাইচুং। শাসক দল, সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চার প্রার্থী, রিকশাল দোর্জে ভুটিয়ার কাছে ৪,৩৪৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেন তিনি। তাঁর দলের অবস্থাও তথৈবচ। ৩২ আসনের সিকিম বিধানসভায় তারা মাত্র ১টি আসনেই জয়ী হয়েছে। বাকি ৩১ টি আসনেই জয়ৃ-জয়কার শাসক দল, এসকেএম-এর।

শুধু বাইচুং ভুটিয়াই নয়, পরাজিত হয়েছেন এসডিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং-ও। দুটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন তিনি। দুই জায়গাতেই হেরেছেন। গত ১৯ এপ্রিল, লোকসভা ভোটের সঙ্গেই এক দফায় সিকিম বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল। এদিন ফল প্রকাশের শুরুর থেকেই এগিয়ে ছিল এসকেএম। শেষ পর্যন্ত, ৩১টি বিধানসভা আসনে জিতে, রাজ্যে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরছে তারা। ২০১৯-এর নির্বাচনে এসকেএম-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু, চলতি বছরের মার্চে জোট ভেঙে দিয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনে এককভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদীর দল এই পাহাড়ি রাজ্যে একটি আসনও জিততে পারেনি। ৩২ আসনের সিকিম বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য ১৬টি আসন লাগে। ২০১৯-এ এসকেএম জিতেছিল ১৭ আসনে। আর এসডিএফ জিতেছিল ১৫ আসনে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রথম নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন বাইচুং। লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। দুই নির্বাচনেই পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর, ২০১৮ সালে সিকিমে ফিরে এসে বাইচুং, হামরো সিকিম পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিলেন। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজের দলের প্রার্থী হিসেবে গ্যাংটক এবং তুমেন-লিঙ্গি আসন থেকে লড়েছিলেন। কিন্তু, দুই জায়গাতেই পরাজিত হয়েছিলেন। গ্যাংটকে ২০১৯ সালের উপনির্বাচনে লড়েও হেরেছিলেন। গত বছর এসডিএফ-এর সঙ্গে মিশে গিয়েছিল হামরো সিকিম পার্টি। বর্তমানে এসডিএফ-এর সহ-সভাপতি বাইচুং। কিন্তু, তাঁর নির্বাচনী ভাগ্য এবারও বদলাল না।

Leave a Reply